একগুঁয়ে এঁড়ে বাছুর
বিদ্যাসাগর ছেলেবেলা থেকেই ছিলেন খুব একাগুঁয়ে। তিনি যা ভালো মনে করতেন তা তিনি প্ৰাণপণে করতে চেষ্টা করতেন। কখনো কখনো তিনি ঠিক উল্টো কাজ করতেন বলে জানা যায়। যেমন, তাকে স্নান করতে নিষেধ করা হলে তিনি জোর করে স্নান করতেন। আবার স্নান করতে বলা হলে সেদিন স্নান করতেন না। তাঁর একগুঁয়েমী স্বভাবের কথা সেই সময় কারো অজানা ছিল না। কেউ কথায় কথায় তার এই একগুঁয়েমীর প্রসঙ্গ তুললেই তিনি রঙ্গ রসিকতা করে বলতেন, ‘কেন একগুঁয়ে হবো না? আমার ঠাকুরদা রামজয় আমার জন্ম সময়ে আমাকে এঁড়েবাছুর বলেছিলেন। আর জ্যোতিষের গণনায় আমার জন্ম বৃষ লগ্নে। তো আমার একগুঁয়োমী থাকবে না তো কার থাকবে? কী বলো হে তোমরা ?’
Leave a Reply