প্রাচীন আচার
পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্ৰ বিদ্যাসাগর বহুবিবাহ-বাল্যবিবাহ সহ নানা রকম সামাজিক কুসংস্কার রোধ করার জন্য এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি স্ত্রী শিক্ষা বিস্তারে সচেষ্ট ছিলেন। তাই চারিদিকে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেছিলেন। এইসব সামাজিক কাজে তিনি সদা ব্যস্ত থাকতেন । এমনই এক সময় বিদ্যাসাগরের বারাসাতবাসী এক অন্তরঙ্গ বন্ধু কালীকৃষ্ণ তাঁর স্ত্রীর তৈরি নানারকম আচার বিদ্যাসাগরের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। কিছুদিন পর এই দুই বন্ধুর সাক্ষাৎ হতে বিদ্যাসাগর বললেন, ‘বন্ধু, তোমার স্ত্রীর তৈরি আচার খেয়ে যেন অমৃতের স্বাদ পেলাম।’
বিদ্যাসাগরের কথা শুনে বন্ধুটি হাসলেন। হাসির কারণ কী ? বিদ্যাসাগর জানতে চাইলে বন্ধুটি উত্তরে বললেন, ‘পণ্ডিত, তাহলে তুমিও মানছ বাংলার সব প্রাচীন আচার মন্দ নয়।’
বন্ধুর কথা শুনে বিদ্যাসাগরও না হেসে পারলেন না এবং বললেন, ‘আচার মন্দ লাগলে তো ফেলে দিতাম।’
Leave a Reply