মাপ মতো
কলকাতার এক খোলা বাড়িতে বে-আইনী দেহ-ব্যবসা চলছে । এই খবর পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মাঝরাতে পুলিশ নিয়ে তেমন এক বহুতল ফ্ল্যাটে হানা দিলেন। একটি ঘরে ঢুকতেই তিনজন খদ্দের সহ প্রায় বেসামাল অবস্থায় তিনটি মেয়েকে হাতে নাতে ধরা গেল। ছেলে তিনটি জানলা টপকে পালালেও মেয়েদের পুলিশ আটক করল ।
প্রথম জনকে ম্যাজিস্টেট জিজ্ঞেস করলেন, কি হে, কি কাজ করেছিল ? কি করে পেট চালাও ?
মেয়েটি (কান্নার সুরে )–হুজুর, আমি খারাপ কাজ করি না। জামা-প্যান্ট সেলাই করে কোন মতে পেট চালাই। এতক্ষণ একজন খদ্দেরের জমার মাপ নিচ্ছিলাম।
ম্যাজিস্টেট–ঢের হয়েছে আর বলতে হবে না। তোমার ছ’ মাসের জেল হোল। দ্বিতীয় মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করতে সে-ও ইনিয়ে বিনিয়ে ঐ একই কথা বলল। ম্যাজিস্ট্রেট রেগে গিয়ে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিলেন ।
কিন্তু তৃতীয় মেয়েটি স্পষ্টবাদী। সে সবিনয়ে জানালো, আমি হুজুর দর্জি নই। দেহপসারিণী। তবে মেয়ে দর্জিদের পাল্লায় পড়ে ব্যবসা পত্তর লাটে উঠতে বসেছে, হুজুর। তাই আমাকে সাজাটা একটু কম দেবেন।
Leave a Reply