অনেক কাল আগে রাস্তাঘাটে কালেভদ্রে কারও গায়ে অ্যাপ্রন দেখলে লোকে সম্মান করে কথা বলত। ডাক্তার বা মেডিকেল স্টুডেন্ট বলে কথা! এখন অবশ্য অ্যাপ্রনের সেই ভাব নেই। অনেক স্কুল-কলেজে অ্যাপ্রন আজকাল সাধারণ এক ইউনিফর্মের নাম। চকচকে এয়ারকন্ডিশন সেলুনের নরসুন্দররাও আজকাল চুল কাটার আগে অ্যাপ্রন পরে নেন। আমার মেডিকেল-জীবনের প্রথম দিনের একটা ঘটনা বলি। প্রথম ক্লাসে যাওয়ার সময় কাঁধে অ্যাপ্রন ঝুলিয়ে কলেজের দিকে যাচ্ছিলাম। পড়লাম জনৈক অধ্যাপকের সামনে। ‘এই ছেলে, মাস্তানের মতো কাঁধে অ্যাপ্রন ঝুলিয়ে হাঁটছ কেন?’ মাস্তানরা কাঁধে অ্যাপ্রন ঝুলিয়ে হাঁটে—এটাই ছিল আমার মেডিকেল-জীবনের প্রথম তাত্ত্বিক শিক্ষা। আমি সালাম দিয়ে দ্রুত কাঁধ থেকে অ্যাপ্রন নামিয়ে গায়ে দিতে দিতে কলেজে ঢুকছিলাম আর আড়চোখে দেখলাম স্যার তাঁর গা থেকে অ্যাপ্রনটা খুলে কাঁধে ঝুলিয়ে গাড়িতে গেলেন। সম্ভবত তিনি চেম্বারে যাচ্ছিলেন।
পূর্ববর্তী:
« অ্যান্টি-রসগল্প – ন. লাবকোভস্কি
« অ্যান্টি-রসগল্প – ন. লাবকোভস্কি
পরবর্তী:
অ্যালার্ম ঘড়ি »
অ্যালার্ম ঘড়ি »
Leave a Reply