প্রমথ চৌধুরী যদি আজ বেঁচে থাকতেন, আর যদি ফেসবুকে স্ট্যাটাস প্রবন্ধ লিখতেন, তাহলে সেটা কেমন হতো—
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অধিকার ছোট-বড় সবারই আছে। এমনকি এই কথা বললেও অত্যুক্তি হবে না যে এ পৃথিবীতে একমাত্র ফেসবুকেই স্ট্যাটাসের কোনো প্রভেদ নেই। রাজার ছেলের সঙ্গে দরিদ্রের ছেলেরও ফেসবুকে যোগ দেওয়ার অধিকার আছে; যদি একবার সাহস করে কেউ স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়, তবে সে নির্বিবাদে এই জগতের মহারথীদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার পথে এগিয়ে যাবে!!
স্ট্যাটাসদাতারা অবশ্য দশের কাছে কমেন্ট প্রত্যাশা করেন, লাইক না পেলে মনঃক্ষুণ্ন হন। কেননা তাঁরাই কেবল সামাজিক যোগাযোগকারী, বাকিরা যেন নিতান্তই অবুঝ!! যে স্ট্যাটাসের ভেতরে আনন্দ নেই, বরং লাইক পাওয়ার আশা আছে, তা স্ট্যাটাস নয়, বরং স্ট্যাটাসদাতার স্ট্যাটাসহীনতারই পরিচায়ক!!
স্ট্যাটাসের উদ্দেশ্য মানুষকে আনন্দদান, বিশেষ কোনো শ্রেণীর মনোরঞ্জন নয়!! এখানে কোনো উপরি পাওনার আশা করা হয় না! মানুষকে নির্মল আনন্দ দেওয়াই স্ট্যাটাস প্রদানকারীর একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত!!
যিনি স্ট্যাটাস দিতে জানেন, তিনি মজার স্ট্যাটাসও যেমন দিতে জানেন তেমনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সচেতনতামূলক স্ট্যাটাসও দিতে পারেন!! যোগ্য স্ট্যাটাসদাতার সব কার্যক্রমই তার ফলোয়ার এবং ফ্রেন্ড সার্কেল পছন্দ করে!!
এসব কথা শুনে আমার জনৈক স্ট্যাটাসদাতা বন্ধু এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, ফেসবুক আমাদের স্ট্যাটাসচ্ছলে হাস্যরসের শিক্ষা দেয়!!
— খন্দকার হাসিফ আহমেদ
Leave a Reply