এক জীবনে আমাদের সবচেয়ে বেশি যে শব্দটির মুখোমুখি হতে হয় তা হচ্ছে—না। জীবনের প্রতিমুহূর্তে না না না, এ না-ময় আমাদের জীবন। তেমনই কিছু না, আসুন দেখে নিই।
মুঠোফোন কোম্পানির না
এই মুহূর্তে আপনার কাঙ্ক্ষিত নম্বরে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনুগ্রহ করে কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন।
রিকশাওয়ালার না
বলছি তো মামা যামু না। ভাড়া বাড়াইয়া দিলেও না।
স্ত্রীর না
তোমার সঙ্গে ঘর করা আর সম্ভব না। আমি ফেডআপ…
পলিটিশিয়ানের না
না না সব মিথ্যে। পত্রিকার কোনো খবর সঠিক না। অন্যায়ভাবে দোষ চাপানো হচ্ছে।
বিজ্ঞাপনের না
জেনেশুনে ভুল করবেন না। আমাদের পণ্য ছাড়া অন্য কিছু কিনে ঠকবেন না।
আম্পায়ারের না
(হাত ডানদিকে তুলে)
বল তো ভালোই করছিলি, কিছু করার নাই নো বল…
প্রেমিকার না
বলেছি না অপরিচিত নম্বর রিসিভ করবে না। আর কোনো মেয়ের সঙ্গে কথা তো দূরের কথা তাকাবেও না।
শিক্ষকের না
তোমাকে এবার পাস করানো গেল না। আবার চেষ্টা করো…
মাছবিক্রেতার না
না স্যার ফরমালিন টরমালিন না। একদম তাজা মাছ…
দোকানির না
না ভাই দুঃখিত, এই দামে দিতে পারলাম না। দাম একটু বাড়াতে পারলে আওয়াজ দিয়েন।
আম্মুর না
না, কোনো বৃষ্টিতে ভেজাভেজি নয়। যাও রুমে যাও।
বন্ধুর না
না দোস্ত, এই মুহূর্তে টাকাপয়সা ধার দিতে পারুম না। নিজেই ক্রাইসিসে আছি।
অফিসের বসের না
দুঃখিত জাকারিয়া সাহেব, আপনার ছুটি মঞ্জুর করা গেল না। অফিস এখন হার্ড টাইমের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলা সিনেমার না
না, রাজু না। এ মেনে নেওয়া যায় না। আমি ছাড়া তুমি আর কারও না।
বিদায়ের না
না না চলে যেয়ো না। একা থাকতে পারব না।…
আব্বুর না
তোমাকে রোজ রোজ আমি টাকা দিতে পারব না। ক্রিকেট খেলতে বাইরে যাওয়া যাবে না। যাও পড়তে যাও।
–রাব্বী আহমেদ
Leave a Reply