হরতাল চলছে। পিকেটাররা পিকেটিং করছে।
একজন একটা ইটের টুকরা পুলিশের দিকে মারতে মারতে পাশের জনকে বলল, ‘আবে ওই হালায়, খাড়ায় রইছস ক্যান। দ্যাখতাছস না, পুলিশ কেমুন আউগায় আইতাছে।’
উত্তর দিল না গিলটি মিয়া।
দুর্ধর্ষ স্পাই মাসুদ রানার সহকারী গিলটি মিয়াকে এবার রাস্তায় নামানো হয়েছে পিকেটারদের সঙ্গে পিকেটিং করার জন্য, পুলিশের সাইলেন্ট ইনফরমার হিসেবে।
ওর কাছে একটা পাসওয়ার্ড আছে। সেটা বললেই পুলিশ ওকে ছেড়ে দেবে। মারবে না।
হরতাল, পিকেটিং, গাড়ি জ্বালাও-পোড়াও দেখে ঘাবড়ে গেছে গিলটি মিয়া। এর চেয়ে চলন্ত বাসে দুই আঙুলের কাজ সারা অনেক সহজ।
চপাশ!
চিমসেপড়া পাছায় পুলিশের লাঠির আঘাত পড়তেই বাস্তবে ফিরে এল গিলটি মিয়া। তড়িঘড়ি করে স্মৃতি হাতড়াল। বাঁচতে হবে।
সর্বনাশ!
পুলিশের মারের চোটে পাসওয়ার্ড ভুলে গেছে ও।
–বিশ্বজিৎ দাস
Leave a Reply