প্রতিদিন সন্ধ্যায় যাবতীয় সম্ভাব্য অঘটনের মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি নেয় রুসালকিন।
প্রতি সোমবার সে নিজের দুই চোখ বেঁধে হাতড়িয়ে হাতড়িয়ে সব কাজকর্ম করে।
‘কখনো হঠাৎ অন্ধ হয়ে যাই যদি, সেটার প্রস্তুতি আমার থাকবে।’
প্রতি মঙ্গলবার সে কাপড় দিয়ে শক্ত করে কান ঢাকে।
‘কখনো হঠাৎ বধির হয়ে যাই যদি…’
প্রতি বুধবার হাঁটু ভাঁজ করে ঊরুর সঙ্গে বেঁধে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটে।
‘কখনো হঠাৎ পা হারিয়ে ফেলি যদি…’
প্রতি বৃহস্পতিবার একটি হাত শরীরের সঙ্গে বেঁধে সব কাজকর্ম করে এক হাতে।
প্রতি শুক্রবার সে চিৎ হয়ে ঠায় শুয়ে থাকে। একদম নড়াচড়া করে না।
প্রতি শনিবার রুসালকিন স্মৃতিলোপের ভান করে। প্রতিবেশিনীর সঙ্গে স্ত্রীকে গুলিয়ে ফেলে। স্যুপ খেতে চেষ্টা করে কাঁচি দিয়ে…
প্রতি রোববার সে নিজেকে বিশ্রাম দেয়। কোনো কিছুই করে না।
এক বুধবারে সে যখন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ক্রাচে ভর দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিল পাশের পার্কে, তাদের ফ্ল্যাটের সবকিছু চুরি হয়ে গেল। শোকে-দুঃখে রুসালকিনের পাগল হওয়ার জোগাড়।
পরে জানা গেল, তার একই তলার প্রতিবেশী এই চৌর্যকর্ম সাধন করেছে। সে ছুতো দেখাল, ‘তার সব জিনিসপত্র আমি অবশ্যই ফিরিয়ে দিতাম। আমি আসলে চেয়েছিলাম তাকে প্রস্তুত করতে।’
পূর্ববর্তী:
« প্রস্তাবে রাজী আছেন কিনা
« প্রস্তাবে রাজী আছেন কিনা
পরবর্তী:
প্রাচীন আচার »
প্রাচীন আচার »
Leave a Reply