ছেলে: তোমার কাছে কিছু খুচরো পয়সা আছে?
মেয়ে: থাকার কথা। (ভ্যানিটি ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে সে খুঁজতে থাকে) এই ব্যাগে কখনো কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না! … ওহ্, পেয়েছি।
ছেলে: এটা তুমি কী দিচ্ছ আমাকে! ব্যবহূত বাসটিকিট?
মেয়ে: হতেই পারে না! …আরে, তাই তো! কেন যে ওটাকে বয়ে নিয়ে বেড়াই সঙ্গে! আচ্ছা দাঁড়াও, দিচ্ছি তোমাকে কুড়ি কোপেক। (আবার হাত ঢুকিয়ে দেয় ভ্যানিটি ব্যাগে)
ছেলে: আবার কী দিচ্ছ?
মেয়ে: দেখি! ঠিকই বলেছ। ঠিকানা লেখা কাগজের টুকরো। কার যে ঠিকানা, ধারণাও নেই! কেন যে ওটাকে বয়ে নিয়ে বেড়াই সঙ্গে!
ছেলে: কুড়ি কোপেক কি সত্যিই আছে তোমার?
মেয়ে: আছে বাবা, আছে! চোখের সামনেই তো ছিল! দাঁড়াও, এখন পার্সটা বের করি। (আবার হাত ঢোকাল ভ্যানিটি ব্যাগে) জানো, এই ভ্যানিটি ব্যাগটা আমি সহ্যই করতে পারি না। কিচ্ছু খুঁজে পাওয়া যায় না। এই যে, পার্স খুঁজে পেয়েছি। না, এটা গত বছরের ক্যালেন্ডার। আমার এটার কী দরকার! বেহুদা ব্যাগে জায়গা দখল করে রাখে! (হাতড়াচ্ছে) ব্যাগও বটে আমার!!
ছেলে: কুড়ি কোপেক তোমার সত্যিই আছে তো?
মেয়ে: ব্যাগটা এত অসুবিধাজনক! আরে, এই কাপড়ের টুকরো এল কোত্থেকে? …ওহ, মনে পড়েছে। দুই বছর আগে ব্লাউজ বানানোর জন্য এ ধরনের কাপড় খুঁজছিলাম। কিন্তু বুঝলাম না, ওটা এখনো কী করছে আমার ব্যাগে!
ছেলে: আমি তোমাকে কুড়ি কোপেক দিতে বলেছিলাম, ট্রামের টিকিট কিনতে।
মেয়ে: কুড়ি কোপেক? আগে বলবে তো! দাঁড়াও, ব্যাগে খুঁজে দেখি। একেবারে চোখের সামনেই পড়ে ছিল…
সংকলন ও অনুবাদ: মাসুদ মাহমুদ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১২, ২০১২
Leave a Reply