গোপালের পাশের এক প্রতিবেশীর নাম কেদার। তার বাড়ির উঠানে কাঁঠাল গাছ ছিল। গাছটিতে প্রতি বছর বেশ বড় বড় কাঁঠাল হত। খেতে মধুর মত মিষ্টি। কিন্তু একটা কাঁঠালও সে কাউকে দিত না। গাছে একটি কাঠাঁল পাকলে তার গন্ধে পাড়া মাত করে তুলত। গোপাল যাচ্ছিল কেদারের বাড়ির সামনের রাস্তাদিয়ে। যেতে যেতে দেখলে কেদার দাওয়ায় বসে একবাটি সরষের তেল নিয়ে গোঁফে, বেশ করে মাখাচ্ছে। তাই দেখে গোপাল জিজ্ঞাসা করলে, কি হচ্ছে কেদার ভায়া।
কেদার বললে, গাছের বড় কাঠাঁলটা পাকবে মনে হচ্ছে তাই গোঁফে তেল মাখাচ্ছি। কাল সকালে ওটাকে দিয়ে জলযোগ করবার ইচ্ছে আছে।
গোপাল বললে, একটু বেশি করে মেখে রাখ ভাই, তা না হলে গোঁফে আঠা জড়িয়ে যাবে। ভাল করে না মাখালে তেল যদি- গোঁফে আঠা লাগে ছাড়াতে কষ্ট হবে।
সেদিন রাতেই কাঁঠালটা কে চুরি করে নিয়ে চলে গেল। পরের দিন কেদার গোপালকে ডেকে দুঃখ করে বললে, জানো গোপাল আমার গোঁফে তেল মাখানই সার হল কাঠাল খাওয়া হল না আর। কাল রাতে কাঁঠালটা চুরি হয়ে গেছে। গোপাল ভীষণ দুঃখ প্রকাশ করে বলল, কি আর করবে দাদা একেই বলে- গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
পূর্ববর্তী:
« গাছতলাটা ভারি অন্ধকার
« গাছতলাটা ভারি অন্ধকার
পরবর্তী:
গাধা »
গাধা »
Leave a Reply