গোপালের স্ত্রী গোপালের সঙ্গে বুদ্ধি লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পারলেও উপস্থিত বুদ্ধি তারও কম ছিল না। গোপালের মত রসিক লোকের সঙ্গে থেকে থেকে তার রসবোধও দিন দিন বেড়েই চলেছিল। কথায় তার সঙ্গে পেরে উঠে এমন লোকও কম ছিল। একদিন সে গঙ্গাস্মান করতে গিয়েছে। ঘাটে নামতেই সে দেখতে পেল, একখানা বজরায় একদল বরযাত্রী ঘাটে নোঙর ফেলেছে। কিন্তু বর যে কে, তা বোঝা যাচ্ছে না। কারণ সে টোপর খুলে সহজ মানুষ হয়ে বসে আছে তখন। স্ত্রীলোক মাত্রেই বরযাতী দেখলে বরের খোঁজ করে।
গোপালের স্ত্রী ও কৌতুহলবশে জিজ্ঞাসা করলে, হ্যাগা, তোমাদের মধ্যে কোনটি বর? এক যুবক রসিকতা করার লোভ সংবরণ করতে পারলে না।
সে বলে উঠলো, বর? বেছে নাও না। দেখি তোমার পছন্দ কেমন হয়?
গোপালের পত্নী তখনই মুখের উপর জবাব দিলে, তোমাদের ভেতর থেকে তা আর বেছে নেওয়ার উপায় নেই। তোমার সবাই যে বাছা। বাছা বলে স্ত্রীলোকেরা ডাকে নিজের ছেলেকে।
যুবকটি লজ্জায় মাথা নীচু করলে। গোপালের স্ত্রীও মুচকি মুচকি হাসতে হাসতে স্নান করে বাড়ি ফিরে গেল।
পূর্ববর্তী:
« সবাই কী ভাববে
« সবাই কী ভাববে
পরবর্তী:
সবাই বদলাচ্ছে »
সবাই বদলাচ্ছে »
Leave a Reply