পারস্পরিক অভিযোগ আর ভৎর্সনার কারণে আমি চূড়ান্ত বিরক্ত। কোনো কিছু করতে যাওয়ার আগে তার সঙ্গে সলা-পরামর্শ করা ছেড়ে দিয়েছি তাই। এমনকি আমাকে সে কিছু প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও কান দিই না তাতে। আমার জন্য এটাই সুবিধাজনক। নার্ভও শান্ত থাকে।
সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা বানিয়ে খেয়ে নিই। নাশতা শেষে কাপড়চোপড় পরে প্রায় নিঃশব্দে বাসা থেকে বেরিয়ে যাই।
বিশ্রাম নিক সে—এই ভেবে নিজেকে সান্ত্বনা দিই।
অফিসে মাঝেমধ্যে মনে পড়ে তার কথা। মূলত একেবারেই বেমক্কাভাবে এবং অসময়ে। তারপর কাজের চাপে আবার তাকে ভুলে যাই।
ঘরে ফিরি সচরাচর বেশ দেরিতে। ফিরে অনুভব করি, সে বরাবরের মতোই ঘুমিয়ে আছে।
দংশন না করলেই আর কোনো সমস্যা নেই—ভেবে ঘুমাতে যাই ক্লান্ত আমি।
কিন্তু সে আমাকে ঘুমোতে দেয় না। অতিবাহিত দিনের প্রতিটি ক্ষুদ্রতম ঘটনারও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করতে থাকে। সবকিছুতেই তার নাক গলানো চাই!
এমনও হয়, ভোর পর্যন্ত অভিযোগমালা দাখিল করতে থাকে সে—আমার বিবেক।
পূর্ববর্তী:
« চিরশান্তি লাভ
« চিরশান্তি লাভ
পরবর্তী:
চিরুনির শেষ কাঁটা »
চিরুনির শেষ কাঁটা »
Leave a Reply