ফালেয়েভ তার মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলল। আলমারি থেকে নীরবে একটা মানিব্যাগ বের করে আনল স্ত্রী।
উৎফুল্ল ফালেয়েভ তার বোনাসের টাকা ভরল নতুন সেই মানিব্যাগে। কিন্তু বোনাসের টাকা হারিয়ে ফেলতে সক্ষম হলো সে।
আলমারি থেকে নীরবে বোনাসের টাকা বের করে আনল স্ত্রী।
উৎফুল্ল ফালেয়েভ ছুটল ডিপার্টমেন্ট স্টোরে। স্ত্রীর জন্য উপহার কিনল। কিন্তু ফেরার পথে হারিয়ে ফেলল সেটা।
আলমারি থেকে নীরবে উপহার বের করে আনল স্ত্রী। নিজেই নিজেকে দিল।
এক সপ্তাহ পরে ফালেয়েভ মাইনের পুরো টাকা ভুল করে বাসে রেখে নেমে পড়ল। বাড়ি যেতে যেতে তার মনে হতে লাগল, স্ত্রীর ধৈর্যে ফাটল ধরবে নিশ্চয়ই।
‘যথেষ্ট হয়েছে!’ বলল তার স্ত্রী। ‘আমার ধৈর্যের পেয়ালা পূর্ণ হয়ে উপচে পড়ছে।’
ডিভোর্স? না…আলমারি থেকে নতুন পেয়ালা বের করে আনল স্ত্রী। আকারে আগেরটার চেয়ে বড়।
ফালেয়েভ নিজেকে শুধরে নেবে স্থির করল। নইলে তার স্ত্রী যে কখন আলমারি থেকে নতুন স্বামী বের করে আনবে, কে জানে!
পূর্ববর্তী:
« সহমর্মিতা – বরিস নেমিরভ
« সহমর্মিতা – বরিস নেমিরভ
পরবর্তী:
সাঁওতাল মেয়ে »
সাঁওতাল মেয়ে »
Leave a Reply