পিওতর সিদোরভিচ—খুব চমৎকার মানুষ! গতকাল দেখা হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। কথা হলো মাত্র পাঁচ মিনিট, অথচ এমন অনুভূতি, যেন চার পেগ ভোদকা খেয়েছি।
মাকার ফেদতভিচও ভালো মানুষ। তাঁর কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে; এবং প্রতিবারই মনে হয়, যেন ভোদকা খেয়েছি ছয় পেগ।
নিনা মিরোনভনাকে আমার ভারি পছন্দ। কী অপরূপা মহিলা: সুতন্বী, স্মার্ট, হাসি তাঁর সূর্যকিরণের মতো। তাঁকে দেখলেই মনে হয়, এক গ্লাস ড্রাই ওয়াইন খেয়েছি।
ভারভারা ফিওদরোভনা—বিরল প্রজাতির আন্তরিক মানুষ। তাঁর সঙ্গে এক মিনিট কাটালেই মনে হয়, কেউ যেন চার পেগ ভোদকা এবং সঙ্গে টক শসা সার্ভ করেছে।
তবে ৯ নম্বর ফ্ল্যাটের প্রতিবেশিনীর কথা ভিন্ন। সে কোথাও-খুঁজে-পাবে-নাকো ধাঁচের খাণ্ডারনি। তাকে দেখলেই মনে হতে থাকে, যেন হাত থেকে ভোদকার বোতল পড়ে গিয়ে ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে।
কিন্তু আমার শাশুড়ি জিনাইদা তিমফেয়েভনার মনটা এত ভালো! কিছু বলার জন্য তিনি মুখ খুললেই মনে হয়, যেন কেউ এক গ্লাস পোর্ট ওয়াইন এনে দিল আমার হাতে। বিনে পয়সায়।
তবে সবচেয়ে ভালো লোক হচ্ছেন ভিক্তর নিকোলায়েভিচ। তাঁর সঙ্গে দুটো শব্দ বিনিময়ের পরে মনে হয়, যেন পানির ট্যাপ থেকে রেড ওয়াইন ঝরছে।
আর নিজের সম্পর্কে কী-ই বা বলব! সবাই জানে, আমি বাস করি ভোদকার ব্যারেলে।
সংকলন ও অনুবাদ: মাসুদ মাহমুদ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ৩০, ২০১২
Leave a Reply