মায়ের ৯৫তম জন্মদিন। তিন সন্তান বসেছে আলোচনায়। উপহার হিসেবে কে কী দেবে, এই নিয়ে কথা হচ্ছে।
প্রথম সন্তান: আমি মাকে দেব একটা মার্সিডিজ গাড়ি। গাড়িতে করে মা ঘুরে বেড়াবেন।
দ্বিতীয় সন্তান: আমি মাকে দিচ্ছি একটা হোম থিয়েটার। অবসরে বসে সিনেমা দেখতে পারবেন।
তৃতীয় সন্তান: মায়ের তো বয়স হয়েছে। চোখে কম দেখেন, কানেও কম শোনেন। কিন্তু তিনি পত্রিকা পড়তে খুব ভালোবাসেন। আবার বাড়তি কাজের লোক রাখাও তিনি পছন্দ করেন না। তাই ঠিক করেছি, আমি মাকে এমন একটা তোতাপাখি কিনে দেব, যে তাঁকে পত্রিকা পড়ে শোনাবে। ইতিমধ্যেই আমি এমন একটা তোতা পেয়েছি। দাম পড়েছে পাঁচ লাখ টাকা!
যা হোক। যথাসময়ে উপহার দেওয়া হলো। উপহার পেয়ে মা প্রত্যেক সন্তানকে একটা করে চিঠি দিলেন।
প্রথম সন্তানকে লিখলেন, ‘তুমি কেন আমাকে মার্সিডিজ গাড়ি দিলে, বুঝলাম না। আমার কি এখন ঘোরাঘুরির বয়স আছে? যা হোক, তোমাকে ধন্যবাদ।’
দ্বিতীয় সন্তানকে লিখলেন, ‘আজকাল চোখে কম দেখি, কানেও কম শুনি। সিনেমা দেখব কী করে, বলো? তবু, তোমাকে ধন্যবাদ।’
তৃতীয় সন্তানকে লিখলেন, ‘তুমিই একমাত্র, যে কিনা আমার প্রয়োজনটা বুঝতে পেরেছ। অসংখ্য ধন্যবাদ। মুরগিটা খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল!’
পূর্ববর্তী:
« প্রয়োজন বোধ
« প্রয়োজন বোধ
পরবর্তী:
প্রয়োজন »
প্রয়োজন »
Leave a Reply