আস্ত মুরগির ফ্রাইটা মাত্র আয়েশ করে খেতে বসেছেন জলিল মিঞা, এমন সময় রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারী এসে হাজির। বিনীত ভঙ্গিতে বললেন কর্মচারী, ‘স্যার, কিছু মনে করবেন না। ওই টেবিলে যে বিশালদেহী লোকটাকে দেখছেন, সে আমাদের নিয়মিত কাস্টমার। প্রতিদিন এসে মুরগির ফ্রাই খায়। আজ আমাদের এখানে একটাই ফ্রাই অবশিষ্ট ছিল, সেটা আপনাকে দেওয়া হয়েছে। এখন মুরগির ফ্রাই না পেয়ে ভীষণ খেপেছেন তিনি। যদি কিছু মনে না করেন, আপনার ফ্রাইটা ওনাকে দিই, আপনি অন্য কিছু খান।’
রেস্টুরেন্টের কর্মচারীকে পাত্তাই দিলেন না জলিল। বললেন, ‘ধুত্তোরি, তোমার বিশালদেহীকে অন্য কিছু খেতে বলোগে, যাও।’
কিছুক্ষণ পর হাতা গোটাতে গোটাতে উঠে এল বিশালদেহী। বলল, ‘আমার মুরগি আমাকে দিয়ে দিন। নইলে…’
জলিল: নইলে কী করবেন, শুনি?
বিশালদেহী: আপনি মুরগিটার সাথে যা করবেন, আমিও আপনার সাথে তা-ই করব। আপনি যখন ওর রানটা ছিঁড়বেন, আমিও আপনার রান ছিঁড়ে নেব। আপনি যখন ওর ঘাড়ে কামড় বসাবেন, আমিও আপনার ঘাড়ে কামড় বসাব….!’
জলিল একটুও ঘাবড়ালেন না। ফ্রাই করা মুরগিটার পায়ে আলতো করে চুমু খেয়ে নিজের একটা পা বাড়িয়ে দিয়ে বললেন, ‘এবার আপনার পালা!’
পূর্ববর্তী:
« এপ্ৰিল ফুল
« এপ্ৰিল ফুল
পরবর্তী:
এবার একটু হাসুন »
এবার একটু হাসুন »
Leave a Reply