[বর্তমানে চলমান ইউরো ফুটবল টুর্নামেন্টে সবচেয়ে সহজ গ্রুপের ফেবারিট দল ছিল রাশিয়া। অথচ তারা গ্রুপের বাধাই পেরোতে পারেনি। ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা এখন তাই কোচ ও ফুটবলারদের নিয়ে কৌতুক বানিয়ে গায়ের ঝাল মেটাচ্ছে।]
শেষ ম্যাচে গ্রিসের সঙ্গে দলের স্ট্রাইকার আলেক্সান্দর কেরজাকভ বার লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন এগারোবার। বল গোলবারমুখী হয়নি একবারও। এ নিয়ে বানানো কৌতুকটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে:
ম্যাচশেষে কেরজাকভ রাগ ঝাড়তে পাশের ডাস্টবিনে লাথি মেরেছিলেন, তবে ডাস্টবিনে পা লাগাতে তিনি ব্যর্থ হন।
ইউরোপের অর্থনীতি বিষয়ে সামান্য খোঁজখবর রাখেন যাঁরা, তাঁরা বুঝবেন এই ব্যঙ্গটি:
ইউরো জোন থেকে বেরিয়ে গেল গ্রিস নয়, রাশিয়া।
রাশিয়ার কোচের নাম ডিক অ্যাডভোকেট। তাঁর নাম ব্যবহার করে বানানো হলো:
রাশিয়ার ফুটবল রক্ষা করতে অ্যাডভোকেট প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন প্রসিকিউটর বা জল্লাদ।
—আমাদের ফুটবলারদের খেলা আপনার কেমন লেগেছে?
—তলস্তয়ের খেলার মতো।
—কিন্তু তলস্তয় তো ফুটবল খেলতেন না!
—ঠিক সেই কারণেই কথাটা বললাম।
রাশিয়ার ফুটবলের সঙ্গে দেখা হলো রাশিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার। পরস্পরের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল তারা, তারপর একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল হু হু করে।
লজ্জা ঢাকতে আরশাভিন মেয়ের সাজ নিয়ে বের হলো বাসা থেকে। তারপর পথে এক বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করল,
আপনি জানেন, আমি কে?
—জানি। তুমি আরশাভিন।
—কীভাবে চিনলেন?
—আমি কেরজাকভ।
পেলেকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল,
রাশিয়া কবে ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হবে?
—যখন ব্রাজিল চ্যাম্পিয়ন হবে আইস হকিতে।
রাশিয়ার ফুটবলাররা অবশেষে তাদের ফালতু কাজ শেষ করেছে। তাদের সামনে এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ: চিপস বা সফট ড্রিংকের বিজ্ঞাপনে অংশ নেওয়া।
হয় ফুটবলের সমর্থক হতে হবে, নয়তো রাশিয়ার। একসঙ্গে দুটির সমর্থক হওয়া বাস্তবে অসম্ভব।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ২৫, ২০১২
Leave a Reply