একদিন উমবার্ৎসেভায়া পদবির মেয়ের কাছে গিয়ে লিয়ালকিন বলল, ‘উমবার্ৎসেভায়া, ও উমবার্ৎসেভায়া।’
‘কী, লিয়ালকিন?’ জানতে চাইল উমবার্ৎসেভায়া।
‘ইয়ে মানে…’
‘ঝটপট বলে ফেলো তো! তবে মনে রেখো, ওই বিষয়ে কোনো কথা নয় কিন্তু!’
‘কিন্তু আমি তো ওই প্রসঙ্গেই কথা বলতে এসেছিলাম।’
‘না, ওই বিষয়ে কথা নয়।’
‘খুবই দুঃখের কথা, কিন্তু আমি যে চাইছিলাম…’
‘চাইতে চাইতে একসময় চাওয়ার ইচ্ছে উবে যাবে।’
‘যাবে না।’
‘না, এই প্রসঙ্গ নিষিদ্ধ।’
‘তাহলে আমি চললাম।’
‘একটু বসতে না-হয়…’
‘নিষিদ্ধ যখন, বসে কী লাভ!’
‘অন্য কিছু বলো তাহলে…’
‘অন্য কোনো চিন্তা মাথায় এখন আসছে না। চললাম।’
লিয়ালকিন চলে গেল। অনুশোচনা হলো উমবার্ৎসেভায়ার। সে ভাবল, ‘কেন যে অমন ব্যবহার করলাম! ভালো একটা সুযোগ ছিল—আমার স্বামী এখন বিজনেস ট্রিপে। অথচ নির্বোধ আমি, ওকে এই প্রসঙ্গ তুলতেই দিলাম না!’
হাঁটতে হাঁটতে লিয়ালকিন ভাবছিল, ‘খুবই আশা ছিল, এক বোতল ভোদকার পয়সা ধার করতে পারব ওর কাছে। অথচ সেই প্রসঙ্গ তোলার সুযোগই দিল না সে।’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৮, ২০১২
Leave a Reply