১
পরীক্ষার হলে সামনের আসনে কে বসবে, তা নিশ্চিত হোন। ঘুমন্ত অবস্থায় তার মাথার পেছন দিকটা কামিয়ে ফেলুন সুযোগ বুঝে। ন্যাড়া অংশটিতে লিখে ফেলুন কঠিন সব সূত্র।
২
একজন স্কাই রাইটার ভাড়া করুন। পরীক্ষার হলে বসুন একদম জানালার পাশে। স্কাই রাইটার কঠিন সব গাণিতিক সমস্যার সমাধান লিখে দেবে আকাশে, আপনি নিশ্চিন্ত মনে তা তুলবেন খাতায়।
৩
প্রথমেই শিখে নিন মোর্স কোড। পুরো বইটা অনুবাদ করুন মোর্স কোডে। তারপর তা রেকর্ড করে ফেলুন যত্নের সঙ্গে। সেই রেকর্ড লুকিয়ে রাখুন ভেন্টিলেটরের ফোকরে। পরীক্ষার পুরোটা সময় তা বেজে যাবে, আপনি লিখবেন। আর মাঝে মাঝে অভিযোগ করুন গৃহনির্মাণের লোকজনের ওপর—ওহ, এরা আর সময় পায় না বাড়িঘর বানানোর!
৪
একটা গানই লিখে ফেলুন, যেখানে থাকবে আপনার পড়াশোনার কঠিন বিষয়গুলো। তারপর একজন জনপ্রিয় সুরকার ভাড়া করে সুর করিয়ে নিন গানটি। নিশ্চিত থাকুন এফএম রেডিওগুলো আগামী ৩ মাসে দিনে ৫০ বার করে বাজাবে তা। ব্যস, হয়ে গেল, গান শুনতে শুনতে পড়া আপনার মাথায় গেঁথে যাবে গভীরভাবে।
৫
দুর্ঘটনা ঘটিয়ে শরীরের অধিকাংশ হাড় ভেঙে ফেলুন (চাইলে ভানও করতে পারেন)! ডাক্তার আপনার গোটা শরীর ঢেকে দেবে প্লাস্টারে। তারপর জটিল সব সূত্র লিখে ফেলুন সেই প্লাস্টারের ক্যানভাসে।
৬
পাঠ্যবইয়ের লেখক মহাশয়কে ঘুষ দিন। বলুন আপনার প্রিয় সব বিষয়ের কথা; তিনি যেন সেসব বিষয় নিয়েই বই লেখেন। লেখা হয়ে গেলে শিক্ষকদের উৎসাহী করুন ওই লেখকের বই পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে।
৭
সব ছেড়েছুড়ে যুদ্ধে চলে যান! যুদ্ধের ময়দানে দেখুন পদার্থবিজ্ঞানের সূত্রগুলোর কী নিখুঁত প্রয়োগ। কত ডিগ্রি কোণে বোমা নিক্ষেপ করলে কোথায় পড়বে, তা শিখে ফেলতে পারবেন যুদ্ধক্ষেত্র থেকেই! সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন ওই যুদ্ধক্ষেত্রেই।
৮
পরীক্ষার আগে বসে পড়ুন বইপত্র নিয়ে। সারা বছর ক্লাসে যা পড়েছেন তা মিলিয়ে নিন। ভান করুন সব বুঝেছেন। তারপর বই খুলে খুলে লিখে ফেলুন খাতায়। ব্যস, ভান করে যা লিখেছেন, পরীক্ষার বেঞ্চে বসে সেসবই লিখে দিন। পাস কে ঠেকায়!
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ১৪, ২০১২
Leave a Reply