টেলিফোন বেজে উঠল। রিসিভার তুলে নিয়ে বললাম, ‘হ্যালো! শুনছি।’
‘কে?’
‘আপনি কোথায় ফোন করেছেন?’
‘আমি জিজ্ঞেস করছি, কে?’
‘আর আমি জিজ্ঞেস করছি, কোথায় ফোন করেছেন?’
‘কোথায় ফোন করেছি, তা আমি জানি।’
‘সত্যিই জানেন?’
‘তুমি কি আমার সঙ্গে রসিকতা করছ? চাকরি খেয়ে নেব বললাম!’
‘কোন চাকরি, বলবেন, প্লিজ?’
‘কোন চাকরি মানে? আমার অফিসের চাকরি!’
‘আপনি কে?’
‘হুমম… ইভানভ, এটা তুমি?’
‘না।’
‘পেত্রোভ?’
‘পেত্রোভও নই।’
‘আমার সঙ্গে খেলা কোরো না!… সেমিওনভ?’
‘সেমিওনভও নই।’
‘তার মানে মিখাইলভ?’
‘তার মানে আমি মিখাইলভ নই।’
‘তুমি যে-ই হও, চাকরি নট করে দেব। আমি এক্ষুনি আসছি এবং এসে যেন তোমাকে না দেখি।’
‘আমি তো আপনাকে বাসায় আমন্ত্রণ জানাইনি।’
‘তুমি তো বড়ই নির্লজ্জ হে!’
‘কার কথা বলছেন?’
‘তোমার। ঠিক তোমার কথা বলছি, সিদোরভ।’
‘আমি সিদোরভ নই।’
‘গ্রিগোরিয়েভ?’
‘না।’
‘বরিসভ?’
‘আপনার কোনোভাবেই জানার কথা নয়, আমার পদবি দেনিসভ।’
‘দেনিসভ? কোন দেনিসভ?’
‘যে দেনিসভ এখন আপনার সঙ্গে কথা বলছে।’
‘কিন্তু তুমি ওখানে… ওখানে তুমি কী করছ?’
‘লাঞ্চ করছি।’
‘লাঞ্চ করছি মানে? অফিসে বসে লাঞ্চ করছ?’
‘না, বাসায় বসে।’
‘বাসায়? তুমি কি অফিস থেকে কথা বলছ না?’
‘না, নিজের বাসা থেকে।’
‘তুমি প্যাঁচ কোষো না। তোমার বাসার কথা আসছে কেন! আমি আমার অফিসে ফোন করেছি।’
‘আর আমি কথা বলছি নিজের বাসা থেকে।’
‘কিন্তু নাম্বারটা তো আমার!’
‘তার মানে, রং নাম্বারে ডায়াল করেছেন।’
‘রং নাম্বারে ডায়াল করেছি আমি? তুমি কার সঙ্গে কথা বলছ, তোমার ধারণা আছে?’
‘ফোন করেছেন কোন নাম্বারে, বলুন তো?’
‘কোন নাম্বারে! কোন নাম্বারে!… থ্রি-থ্রি-থ্রি-টু-টু।’
‘আর আমার নাম্বার টু-টু-টু-থ্রি-থ্রি!’
‘যত্তোসব! নিজের বাসা এনে ঢুকিয়েছে আমার অফিসে! ফোন রাখো এক্ষুনি, বেয়াদব কোথাকার!’
পূর্ববর্তী:
« বেয়াকুফ মশা
« বেয়াকুফ মশা
পরবর্তী:
বেয়াদব এবং ছোটলোক »
বেয়াদব এবং ছোটলোক »
Leave a Reply