‘কাজে আসতে একদিনও দেরি হয়নি তার’, বলল লোকতিয়েভ। ‘এমনকি সোমবার বা কোনো উৎসবের পরের দিনও।’
‘বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার’, চিন্তিত মনে হলো কার্পুখিনকে।
‘বললেই হলো!’ বিশ্বাস করল না সিওমিন।
‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই’, আবার বলল লোকতিয়েভ, ‘সে কাজ ছেড়ে সিগারেট ফুঁকতে ওঠে না একবারও, কাজের সময় ফুটবল-হকি নিয়ে একটা কথাও বলে না, লাঞ্চ ব্রেকের বেল বাজার পরেই শুধু সে বুফেতে যায়।’
‘বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার’, চিন্তিত মনে হলো কার্পুখিনকে।
‘বললেই হলো!’ বিশ্বাস করল না সিওমিন।
‘শুধু ভেবে দেখুন’, কথা চালিয়ে গেল লোকতিয়েভ, ‘ভুয়া কৈফিয়ত সে দেখায়নি একবারও, তার কারণে কাজ থেমে ছিল এমন ঘটনাও ঘটেনি, সমস্ত দায়িত্ব সে নিখুঁতভাবে পালন করেছে।’
‘বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার’, চিন্তিত মনে হলো কার্পুখিনকে।
‘বললেই হলো!’ বিশ্বাস করল না সিওমিন।
‘অবাক হওয়ার কিছু নেই। ব্যাটাকে ধরতে হবে’, বলল মেজর লোকতিয়েভ।
‘সে আমাদের লোক নয়’, বলল ক্যাপ্টেন কার্পুখিন।
‘আমাদের লোক ওভাবে কাজ করে না’, সমর্থন জানাল লেফটেন্যান্ট সিওমিন।
এক ঘণ্টা পরে গ্রেপ্তার করা হলো বিদেশি গুপ্তচরটিকে।
পূর্ববর্তী:
« রহস্যটা কী
« রহস্যটা কী
পরবর্তী:
রহিমুদ্দীর ভাইর বেটা »
রহিমুদ্দীর ভাইর বেটা »
Leave a Reply