বসগুলোকে আমি সহ্যই করতে পারি না! অবশ্য কে-ই বা তাদের ভালোবাসে!
একদিন স্বপ্নে দেখলাম, আমাদের অফিসে একটা আইন চালু করা হয়েছে: কোনো রকম শাস্তির ঝুঁকি ছাড়া যেকোনো বসের মুখে কষে আঘাত করা যাবে এক হাজার ডলারের বিনিময়ে।
ছোটখাটো অফিসারদের কাছে এক হাজার ডলার একেবারেই অকল্পনীয় পরিমাণ অর্থ। তবে আমরা অফিসের সমস্ত কর্মচারী মিলে সারা বছর ধরে অল্প অল্প করে জমিয়ে একসময় কাঙ্ক্ষিত অঙ্কে পৌঁছাতে পারলাম। সেটা জমা দিয়ে আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধান আর্নোল্দ তিমফেয়েভকে একবার ঘুষি হাঁকানোর অনুমতিপত্র হাতে পাওয়া গেল। তারপর টস করে ঠিক করা হলো কষে ঘুষি লাগানোর সৌভাগ্যের অধিকারী কে হবে। নাম উঠল আমার।
ভালোমতো ঘুমিয়ে উঠলাম, গোসল সেরে শেভ করলাম। নাশতা খেলাম পেট ভরে। তারপর সেরা স্যুট (স্যুট আমার একখানাই) পরে হাজির হলাম অফিসে। নিজের কেবিনের পাশে দেখা গেল আর্নোল্দ তিমফেয়েভকে। ক্রূর হাসি হেসে দাঁতের ফাঁক দিয়ে পিচিক করে থুতু ফেললাম তাচ্ছিল্যের সঙ্গে, আগে মুখস্থ করে নেওয়া বাক্যটা উচ্চারণ করলাম, ‘নরকে দেখা হবে, হারামজাদা!’ তারপর শক্ত করে মুঠি পাকিয়ে তার মুখের দিকে হাত চালিয়ে…ঘুষি দিলাম। না। পারলাম না। সাহসে কুলাল না।
অর্থাৎ, এমনকি স্বপ্নেও সাহসে কুলাল না। হায় ঈশ্বর, আমাদের কী হাল তারা করেছে!
পূর্ববর্তী:
« দুঃস্বপ্ন
« দুঃস্বপ্ন
পরবর্তী:
দুই আলোকচিত্রী »
দুই আলোকচিত্রী »
Leave a Reply