—তুমি পুরুষ, নাকি পুরুষ নও!—বন্ধু তাকে উদ্বুদ্ধ করতে চাইল।—হাতে মুঠো পাকিয়ে টেবিলে ঘুষি মেরে প্রমাণ করে দেখিয়ে দাও, পরিবারের প্রধানটা কে আসলে।
তারাস পেত্রোভিচ ঘুষি মেরে দেখাল। কিন্তু স্ত্রীর অবস্থান তাতে একটুও নড়ল না; উপরন্তু সে স্বামীকে রাখল লাঞ্চহীন।
—এভাবে চলতে থাকলে তো ঘর ভাঙতে সময় লাগবে না,—বোন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলল।—কোমল আচরণ করাটাই তোমার উচিত হবে মনে হয়।
স্ত্রীকে ফুল উপহার দিলেন তারাস পেত্রোভিচ, সিনেমায় নিয়ে গেলেন, এমনকি মেঝে মুছে ফেললেন একদিন। কিন্তু স্ত্রী তাঁর উদ্দেশ্য ভেদ করে ফেলল সহজেই। ছাড় দিল না কোনো ধরনের।
—যুক্তি হিসেবে ফুল একেবারেই হালকা,—বললেন তাঁর চাচা, যিনি নারীজাতিকে ভালোভাবে বোঝেন বলে বৃদ্ধ বয়সেও অকৃতদার রয়ে গেছেন।—আরও ভারী কিছু বের করো চিন্তা কর।
ভ্রাতুষ্পুত্র কান দিলেন তাঁর কথায়। বিশালাকৃতির এক স্টেরিও রেকর্ডার নিয়ে তিনি হাজির হলেন স্ত্রীর সামনে।
ফলাফল: উপহার গৃহীত, অনুরোধ প্রত্যাখ্যাত।
বাকি রইল আর একটি অস্ত্র, সিদ্ধান্ত নিলেন তারাস পেত্রোভিচ এবং শরণ নিলেন শাশুড়ির।
—মা, আপনার মধ্যস্থতা প্রার্থনা করি। সবাই যে কাজ করতে পারে, সেটা আমি কেন পারি না?
শাশুড়ির মধ্যস্থতায় ফল হলো। তারাস পেত্রোভিচকে হলুদ রঙের শার্টের সঙ্গে ছাই রঙের কোট পরার অনুমতি মঞ্জুর করল স্ত্রী।
পূর্ববর্তী:
« বিজ্ঞাপনে কাজ
« বিজ্ঞাপনে কাজ
পরবর্তী:
বিজয়ীর অবস্থা »
বিজয়ীর অবস্থা »
Leave a Reply