এক ছিল বালক। নাম তার আলিওশা। পড়াশোনায় ভালোই ছিল সে। নানাবিধ যন্ত্রপাতিতে তার বিপুল উৎসাহ। তাই সে নাম লেখাল ‘দক্ষ হাত’ চক্রে।
কিন্তু আলিওশার মা চাইত, তার ছেলে হবে সংগীতকার। তাই তাকে ভর্তি করিয়ে দিল সংগীতশিক্ষার স্কুলে। তাই বলে ‘দক্ষ হাত’ চক্র ছাড়ল না আলিওশা। কারণ, যন্ত্রপাতি তাকে আকৃষ্ট করে সবচেয়ে বেশি।
আলিওশার বাবার ধারণা ছিল, সত্যিকারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সমস্ত আভাস আলিওশার মধ্যে স্পষ্ট। তারই পীড়াপীড়িতে আলিওশাকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হলো মল্লযুদ্ধচর্চা বিভাগে। কিন্তু মা যাতে মনে কষ্ট না পায়, সংগীতশিক্ষা অব্যাহত রাখল সে।
দাদু মনে করত সৃজনশীল শিল্পের প্রতি আলিওশা খুব আকৃষ্ট। তার জোরাজুরিতে সৃজনশীল শিল্পশিক্ষা চক্রে আলিওশার নাম লেখানো হলো।
দিদিমার স্বপ্ন ছিল তার নাতি বিদেশি ভাষায় পণ্ডিত হবে। আলিওশাকে পড়াতে আসতে শুরু করল ইংরেজির গৃহশিক্ষক।
ভেরা খালামণি ভাবত…
আলিওশা বড় হলো। এবং সে এখন কোথায়, জানেন? ঠিক ধরেছেন। তার সঙ্গে একই ওয়ার্ডে আছে নেপোলিয়ন (প্রাক্তন বালক দিমা)।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ডিসেম্বর ২৬, ২০১১
Leave a Reply