ওহমের সূত্র পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিল বুলকিন। স্বভাবগতভাবেই সে কৌতূহলী ও সন্দেহবাতিকগ্রস্ত। একদিন ট্রলি বাসে যাওয়ার সময় ওহমের সূত্রের কথা কানে এল তার। কারা যেন বলাবলি করছিল, খুব খাসা একটি সূত্র নাকি! তবে বুলকিন আর কিছু বুঝতে পারেনি। শুধু বুঝেছে, সূত্রটি বিদ্যুৎসম্পর্কিত।
বুলকিন তখনই ঠিক করল, সূত্রটি পরীক্ষা করে দেখবে। ‘ভুঁইফোঁড় এ সূত্রের গূঢ়ার্থ কী, তা পরখ করে দেখতে হবে’, ভাবল সে।
বাসায় এসে আগাপাছতলা চিন্তা না করেই একটি কাঁচি ঢুকিয়ে দিল সে সকেটে।
‘উরিব্বাপ রে! ধাক্কা দেয় দেখছি!’ মেঝে থেকে উঠতে উঠতে অবাক হয়ে ভাবল সে। ‘যদি পেরেক ঢোকাই, কী হবে তাহলে?’
ঢুকিয়ে দিল পেরেক।
‘আবার ধাক্কা দিল!’ উপলব্ধি করল সে জ্ঞান ফেরার পর। ‘পেপার-ক্লিপ ঢোকালে কী হবে?’
ঢোকাল সে পেপার-ক্লিপ।
‘তাজ্জব কাণ্ড!’ হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধতে বাঁধতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলো সে। ‘আর যদি শুধু আঙুল ঢোকাই?’
আঙুল ঢোকাল সে।
‘সূত্রটা কি আসলেই সঠিক?’ পুরো হাত কেটে ফেলার পর সন্দেহ উঁকি দিল তার মাথায়। ‘কিন্তু তা কী করে সম্ভব!’
হতাশ হয়ে প্রায় ভেঙেই পড়ছিল সে। হঠাৎ মনে হলো, ‘যদি রুবল ঢোকাই?’
তখন রুবল ঢোকাল সে সকেটে। নোটটাকে রোল করে। কিছুই ঘটল না।
‘সূত্র! বললেই হলো!’ তৃপ্ত হলো সে মনে মনে। ‘সূত্র! কিসের সূত্র! এসব সূত্রের দৌড় আমার ঢের জানা আছে…।’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ১৪, ২০১১
Leave a Reply