পৃথিবীর কোনো কিছুই মানুষের ওপর নির্ভর করে না। সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে ভাগ্য।
আমরা ছিলাম তিন বন্ধু। একসঙ্গে স্কুলে গেছি, এখন কাজ করি একসঙ্গে, বিয়ে করেছি একই দিনে। বিবাহিত জীবন অতিষ্ঠ লাগতে শুরু করে আমাদের একই সময়ে।
প্রথমজন একদিন তার স্ত্রীকে গলা চড়িয়ে বলে বসল, ‘চুপ করো তো! অন্তত এক মিনিটের জন্য!’
স্ত্রী হতভম্ব, প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেল এবং কী একটা ওলট-পালট হয়ে গেল তার ভেতর। সে অন্যদের শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো দেখতে পেতে শুরু করল। ঠিক এক্স-রের মতো। তাকে চটজলদি পাঠানো হলো খুব অভিজাত এক হাসপাতালে। চাকরিতে নিয়োগ পেল সে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপার্জন করে। স্বামী পারলে তাকে কোলে করে নিয়ে বেড়ায়।
এই খবর পেয়ে দ্বিতীয়জন গলা চড়াল তার স্ত্রীর ওপর, ‘চুপ করো তো! অন্তত এক মিনিটের জন্য!’
স্ত্রী হতভম্ব, তারপর ঘোর কাটিয়ে উঠে বলল, ‘তুমি নিজে চুপ করো! গর্দভ কোথাকার!’
দ্বিতীয়জন প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেল এবং কী একটা ওলট-পালট হয়ে গেল তার ভেতর। সে অন্যদের শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো দেখতে পেতে শুরু করল। তাকে চটজলদি পাঠানো হলো খুব অভিজাত এক হাসপাতালে। চাকরিতে নিয়োগ পেল সে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপার্জন করে এখন। স্ত্রী পারলে তাকে কোলে করে নিয়ে বেড়ায়।
একদিন আমি আমার স্ত্রীর ওপর গলা চড়ালাম, ‘চুপ করো তো! এখনই!’
স্ত্রী হতভম্ব তো হলোই না, ধীরগতিতে ফ্রাইপ্যান তুলে নিল হাতে…তারপর কষে হাঁকাল আমার মাথা বরাবর। মনে হলো, আমার শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো ছিঁড়ে গেল।
আমি এখন হাসপাতালে। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে আমার চিকিৎসার পেছনে।
ভাগ্য।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, অক্টোবর ২৪, ২০১১
Leave a Reply