এক বছর বয়সে কথা ফুটল তার। দুই বছর বয়সে পড়তে শিখল, আর লিখতে শিখল যখন তার বয়স তিন। চার বছর বয়সে আয়ত্তে আনল দুটো ভাষা। স্কুলে ভর্তি হলো পাঁচ বছর বয়সে এবং নয় বছর বয়সে স্কুল শেষ করল স্বর্ণপদকসহ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল দশ বছর বয়সে। তের বছর বয়সে ডিগ্রি পেল। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পেল পনের বছর বয়সে এবং বিশ বছর বয়সে ডক্টরেট। পঁচিশ বছর বয়সে নোবেল পুরস্কার পেয়ে অবসর নিল ব্যক্তিগত কারণে।
পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে তার মনে হলো, আর কিছুই করার নেই এই জীবনে। জীবন তার শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তেত্রিশ বছর বয়সে শিখে ফেলল রোলার স্কেটিং। ফুটবল আয়ত্তে এল পঁয়তাল্লিশ বছর বয়সে। পঞ্চাশ বছর বয়সে সাইকেল চালানো শিখতে শুরু করল এবং প্রথমবারের মতো সাইকেল থেকে একবারও না পড়ে অতিক্রম করল বেশ খানিকটা পথ। পঞ্চান্ন বছর বয়সে গুলতি দিয়ে নিজের জানালার কাচ ভেঙে তার মনে হলো, অবশেষে সে সুখী।
জীবন সবে শুরু হচ্ছে…
Leave a Reply