আমাদের দেশে ৫৩ শতাংশ নারী আর ৪৭ শতাংশ পুরুষ। এখন দেখা যাক, শুকনো এই পরিসংখ্যানের পেছনে কী সত্য লুকিয়ে আছে! সত্যটা হলো, ৫৩ জন নারীর মধ্যে কেবল ৪৭ জনের আছে রেজিস্ট্রি করা আইনগত স্বামী এবং বাকি ছয়জন নিঃসঙ্গ। আর এখান থেকেই হিংসা, ঈর্ষা, অসুস্থ প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সংসারে ভাঙন ও নানাবিধ সমস্যার উৎপত্তি। আমরা অবশ্য এসবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বরাবরের মতোই মূল কারণ না খুঁজে করে চলেছি পরিণতির চিকিৎসা।
মূল কারণ, ছয়জন নিঃসঙ্গ নারী।
এখন কী কর্তব্য?
জন্মহার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। অতিরিক্ত লোকজন ধ্বংস করাও হবে অমানবিক। এখন উপায় একটাই—৪৭ জন পুরুষের মধ্যে ছয়জনের শুধু স্ত্রী নয়, প্রেমিকাও থাকতে হবে।
তবে আরেকটা বিষয়ও বিবেচনায় নিতে হবে। পুরুষদের অর্ধেকই এত বেশি অ্যালকোহলাসক্ত যে মেয়েদের সম্পর্কে তাদের কোনো আকর্ষণই নেই। আবার একদল পুরুষ সামরিক বাহিনীতে বাধ্যতামূলকভাবে নিয়োজিত, দেশের প্রতিরক্ষার চিন্তায় তারা ব্যস্ত, মেয়েদের নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায় তাদের? অতএব, তারাও হিসাব থেকে বাদ পড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, অনেক চালাক-চতুর, চটপটে মেয়ে স্বামীর পাশাপাশি একটা প্রেমিক জুটিয়ে নিতে সচেষ্ট। এ হিসাবও মাথায় রাখা দরকার। অবস্থাটা তাহলে কী দাঁড়াচ্ছে?
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্তে আসতেই হয় যে প্রত্যেক সুস্থ পুরুষের উচিত স্ত্রীর পাশাপাশি একজন প্রেমিকা জুটিয়ে নেওয়া। এই শর্ত অনিবার্যভাবে পালন করা হলেই শুধু সুষম সমাজ গঠনের সম্ভাবনা জেগে উঠবে।
পূর্ববর্তী:
« সমস্ত লেখা কাল্পনিক
« সমস্ত লেখা কাল্পনিক
পরবর্তী:
সমস্যাটা কী »
সমস্যাটা কী »
Leave a Reply