ঘটনাটা অধরাকে নিয়ে। মেডিকেলের ফার্স্ট প্রফ পরীক্ষা। সবাই যে যার জায়গায় বসে অপেক্ষা করছে, কখন পরীক্ষা শুরু হবে। এ সময় একটা ছেলে রুমে ঢুকে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করল। আমরা ভাবলাম, বেচারা সিট খুঁজে পাচ্ছে না। অধরা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে ছেলেটাকে ডেকে বলল, ‘কিরে? সিট খুঁজে পাচ্ছিস না? তোকে তো ক্লাসে আগে দেখিনি, নতুন আসলি নাকি? আমার পাশে জায়গা আছে, বসে পড়।’ ছেলেটা দাঁড়িয়ে ওর কথা শুনল, অধরা আবার বলল, ‘বসে পড়, জায়গা পাবি না, মিলিয়ে লিখব আমরা।’ তখন ছেলেটা কিছু না বলে চলে গেল। অধরা বলল, ‘ইস, এমন ভাব যেন নিজেই সব পারে, এ জন্য সেধে সেধে কারও উপকার করতে হয় না। দেখব, কেমন নম্বর পাস।’ একটু পর দুজন টিচার ক্লাসে খাতা-প্রশ্ন নিয়ে ঢুকলেন। টিচারদের একজন ওই ছেলেটা, অধরা তো পুরা ‘থ’।
অদিতি ঘোষ
দুর্গাবাড়ী, ময়মনসিংহ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১১
Leave a Reply