—ঘুমিয়ে আছে সকল পিতা সব শিশুরই অন্তরে
—পিতাদের এত ঘুমানোর কী প্রয়োজন?
বাবা: স্কুলে তোমার কেমন চলছে, খোকা? লেখাপড়া কেমন হচ্ছে?
ছেলে: আচ্ছা বাবা, মাঝেমধ্যেই তুমি এ কথা জিজ্ঞেস করো কেন? আমি কি কখনো জিজ্ঞেস করি, অফিস তোমার কেমন হচ্ছে?
প্রতিদিনের মতো রহমান সাহেব তাঁর মেয়েকে ঘুম পাড়াচ্ছেন। মেয়ের ঘুম আসছে না দেখে রহমান সাহেব মেয়েকে রূপকথার গল্প শোনাচ্ছিলেন। এক ঘণ্টা পরে ঘরে শুধু মৃদু স্বরে গল্পের আওয়াজ পাওয়া গেল। দুই ঘণ্টা পরে নীরবতা। মিসেস রহমান এসে ফিসফিস করে জানতে চাইলেন, ‘ঘুমিয়ে পড়েছ?’
‘হ্যাঁ, মা, বাবা ঘুমিয়ে পড়েছে,’ মেয়ে উত্তর দিল।
বাবা তার ছোট সন্তানকে: আমার লক্ষ্মী বাবা! সোনা বাবা!!
পিচ্চি: আমি তোমার বাবা হব কী করে? আমি তো বিয়েই করিনি, তাই না, মা?
পুণ্যার্থী: আজ দানবাক্সে কত রাখব, বাবা?
ভন্ডবাবা: দুটো পয়সা বেশি দিয়ে যাস। জিনিসপত্রের যা দাম! তোরও যাতে লস না হয় সেটা দেখছি। তোর জন্য আজ বাড়তি এক কোটি টাকা চেয়ে প্রার্থনা করছি।
রোগী: সকাল থেকে এসে বসে আছি। ব্লাড ক্যানসার নিয়ে এতক্ষণ কি বসা যায়? বাবারে কও না দুইটা ঝাড়ফুঁক দিয়া আমারে ভালা কইরা দিতে। ট্যাকা-পয়সা কম দিমু না।
ওঝাবাবার সহকারী: বললাম তো আজকে সম্ভব না। ওনার পেটের পীড়া হইছে। দৌড়ের ওপর আছেন। একটু পরে ডাক্তারের কাছে যাইতে হইব। যান, দুই দিন পরে আসেন।
—বাবা যা-ই বলে তা-ই মনে হয় ভুল। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একসময় মনে হয় বাবার সব কথাই ছিল সত্যি। এই উপলব্ধি আসার সময় বুঝবেন, আপনার সন্তানও আপনার সব কথা ভুল বলে উড়িয়ে দিচ্ছে।
Leave a Reply