সোর্সকোডটা পেলেই পৃথিবীটা বদলে দিতাম আমি।
ট্রেনে চড়ে যাচ্ছে চার ইউজার এবং চার প্রোগ্রামার। ইউজারদের প্রত্যেকের কাছেই টিকিট আছে। তবে চার প্রোগ্রামার কিনেছে একখানা টিকিট। চেকার আসার সময় হতেই প্রোগ্রামাররা গিয়ে লুকাল টয়লেটে। চেকার সবার টিকিট চেক করে টয়লেটের দরজায় টোকাতে শুরু করল। দরজা একটু ফাঁক করে টিকিটটা বের করে ধরল তাদের একজন। দেখে নিয়ে চেকার চলে গেল।
পরের দিন সেই চার ইউজার এবং সেই চার প্রোগ্রামার আবার যাচ্ছিল ট্রেনে। চার ইউজার এবার কিনেছে একটি টিকিট। প্রোগ্রামারদের কাছে টিকিট নেই একটিও। চেকার আসার সময় হতেই ইউজাররা গিয়ে লুকাল টয়লেটে। একটু পরেই প্রোগ্রামাররা ধাক্কাতে শুরু করল টয়লেটের দরজা। ইউজাররা দরজার ফাঁক গলে বের করে ধরল টিকিটটা। প্রোগ্রামাররা টিকিট নিয়ে অন্য টয়লেটে গিয়ে লুকাল। একটু পরেই এল চেকার…।
নীতিকথা: যেসব সফটওয়্যার প্রোগ্রামাররা বানায়, তার সবই ইউজারদের ব্যবহারের উপযোগী হবে, এমন কোনো কথা নেই।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষমতা নেই প্রকৃত নির্বুদ্ধিতার সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার।
প্রোগ্রামারের সমাধিফলকে লেখা:
ইভান সিদোরভ
১৯৬৮-২০০৭ 🙁
আমার পিসিতে এত ‘নিউ ফোল্ডার’ জমা হয়েছিল যে সেগুলোর জন্য আমাকে আরেকটা ফোল্ডার বানাতে হয়েছে ‘নিউ ফোল্ডার্স’ নামে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৩, ২০১১
Leave a Reply