গণতন্ত্র : একটি চমৎকার শাসনব্যবস্থা, যেখানে একটি দেশের সবাই মিলে ঠিক করে পরবর্তী দিনগুলোতে কে তাদের শোষণ ও অত্যাচার করবে।
গন্ডগোল : যার গণ্ডদেশ বা গাল গোল হয়ে আছে।
বাক্যগঠন: মাম্পস হয়ে ছেলেটির গন্ডগোল হয়ে গেছে।
গোয়েন্দা : সবচেয়ে নিষ্পাপ ও নিরপরাধ লোককে প্রধান অপরাধী বানাতে ওস্তাদ ব্যক্তিবিশেষ।
গন্তব্য : gone-তব্য। যেখানে gone হওয়া আবশ্যক।
গোলমাল : গোলাকার মালপত্র বা বস্তু। বাক্যগঠন: গোলমাল না হলে ফুটবল খেলা যায় না।
গড়িমসি : মসী বা কলম গড়া বা তৈরি করা। এ শব্দ নিয়ে গবেষণা করে দেখা যায়, প্রাচীনকালে যারা মসী নির্মাণ করত তারা একেকজন ছিল বিরাট ফাঁকিবাজ। তারা মসী নির্মাণের কথা বলেও ঠিক সময়ে ভাষাবিদদের সাপ্লাই দিত না, তাই ভাষাবিদেরা তাদের ওপর নিতান্তই বিরক্ত হয়ে কাজে অবহেলা বা ঢিলেমি অর্থে ‘গড়িমসি’ শব্দটা চালু করে।
গরু : শিক্ষক মহোদয়দের ভাষ্যমতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সবচেয়ে সুলভ প্রাণীবিশেষ।
গণপিটুনি : —অসম সংখ্যক প্রতিপক্ষবিশিষ্ট একপ্রকার যুদ্ধ, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল দারুণভাবে জয়ী হয়।
—নিতান্ত দুর্বল অক্ষম ব্যক্তিও যে ঘটনায় অংশগ্রহণ করে নিজের বীরত্ব জাহির করতে পারে।
গন্ডারের চামড়া: একধরনের চামড়ার আচ্ছাদন, যেখানে চামড়ার পরপর চারটি বা এক গন্ডা লেয়ার থাকে। স্বভাবতই এ আচ্ছাদন অত্যধিক পুরু।
গরিব দেশ : যে দেশের নেতা-নেত্রীরা জনগণকে সব সময় আশ্বাস দিয়ে যায়, অমুক গড়িব, তমুক গড়িব, মূলত কিছুই গড়া হয় না। তাই ‘গড়িব’ শব্দটাই টিকে থাকে এবং দেশের স্ট্যাটাসও গরিব থেকে যায়।
গোলকধাঁধা: জ্যামিতিশাস্ত্রের অংশবিশেষ, যেখানে বৃত্ত-সম্পর্কিত নানা সমস্যা আলোচিত হয়। বাক্যগঠন: আজকে প্রশ্নের গোলকধাঁধায় আটকে ম্যাথ পরীক্ষাটা যাচ্ছেতাই হলো!
গুরু : শিষ্য উৎপাদক (মতান্তরে ভক্ষক) জাতিবিশেষ।
(গরুর জন্য যেমন শস্য, গুরুর জন্য তেমনি শিষ্য, আদ্যস্বরের ইতরবিশেষ কেবল। আসলে উভয়ই হলো খাদ্য—খাদক সম্বন্ধ, শিবরাম চক্রবর্তী, গল্প-হরগোবিন্দের যোগফল)
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ১১, ২০১১
Leave a Reply