২০০৮ সালের কথা। তখন আমরা অষ্টম শ্রেণীতে পড়ি। আমাদের স্কুলে পঞ্চম পিরিয়ডের পর পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রদের ছুটি দেয়। এ সময় পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের অনেক বন্ধু দারোয়ানকে ফাঁকি দিয়ে স্কুল থেকে পালাত। যেহেতু স্কুলব্যাগসহ মাঠ পাড়ি দেওয়ার সময় ধরা খাওয়ার ঝুঁকি বেশি, তাই প্ল্যান ছিল এ রকম—যারা স্কুল থেকে পালাবে, তারা ব্যাগ ছাড়াই নির্ভয়ে গেটের সামনে দাঁড়াবে এবং সহযোগীরা তাদের ব্যাগ গেটের সামনে ছুড়ে মারলে তারা ব্যাগটি নিয়ে চলে যাবে। আমাদের রুমটিও ছিল গাছের সঙ্গের ভবনটির দোতলায়। একদিন আমার দুই বন্ধু অর্ণব ও জাহিদ স্কুল থেকে পালানোর জন্য আমার সহযোগিতা চাইলে আমরা প্ল্যান করলাম যে অর্ণব যখন গেটের সামনে দাঁড়াবে, তখন আমি অর্ণবকে ওর ব্যাগ ছুড়ে দেব এবং পরে জাহিদ নিজের ব্যাগটিও ওর কাছে ছুড়ে দিয়ে চলে যাবে। অর্ণব নিচে গেটের সামনে দাঁড়ালে আমি ও জাহিদ ব্যাগ ছুড়ে মারতে প্রস্তুত হই। কিন্তু ওই সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক গেট দিয়ে স্কুলে ঢুকছিলেন। আমি তাঁকে লক্ষ না করে ব্যাগ ছুড়ে মারলাম। ব্যস, ব্যাগটিও উড়ে গিয়ে পড়ল স্যারের ঠিক মাথার ওপর।
মো. মামুন কবীর খান
এ কে হাইস্কুল, দনিয়া, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৮, ২০১১
Leave a Reply