চারটা স্কুলে পড়েছি আমি। সবই ঢাকা জেলার মধ্যে। আমার প্রথম স্কুল ছিল লিটল জুয়েলস। তখন আমি প্রথম শ্রেণীতে পড়ি। আমাদের ক্লাস টেস্ট চলছিল। সেবার বাংলা সিলেবাসে ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ‘মেঘের কোলে রোদ’। কবিতাটি আবৃত্তি করতে হবে। আমাদের একটা গানের ক্যাসেট ছিল, সেটিতে ওই কবিতাটি গান হিসেবে ছিল। কবিতাটি আমি গান শুনে শুনে শিখেছি। গান ও কবিতার মধ্যে একটু পার্থক্য ছিল। গানটি ছিল, ‘মেঘের কোলে রোদ উঠেছে…আ হা হা হা হা…।’ কিন্তু কবিতায় আ হা হা হা হা অংশটুকু ছিল না।
পরীক্ষার দিন এল, আপা একে একে সবাইকে ডাকলেন। একপর্যায়ে আমার পালা। কিন্তু কী সর্বনাশ…! আমি যে আপার সামনে কোনোভাবেই আবৃত্তি করতে পারছি না। শুধু গানই মনে পড়ছে। শেষমেশ উপায় না দেখে গান গাওয়াই শুরু করে দিলাম। আপা তো রেগে নম্বরের জায়গায় গোল্লা তো দিলেনই, সঙ্গে দিলেন শাস্তি। আমাকে ৩০ বার কান ধরে ওঠবস করতে হলো।
যারিন তাসনিম
ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৮, ২০১১
Leave a Reply