আমার বাবা তখন নবম শ্রেণীতে। তাঁর কাছ থেকে এই গল্পটা শুনেছি। বার্ষিক পরীক্ষার সময় একদিন মজিদ বারবার পকেটের দিকে তাকাচ্ছিল। সঙ্গে সঙ্গে রজব স্যার (আসলে গজব স্যার) হুংকার দিলেন, ‘কিরে, পকেটে কী তোর? নকল নাকি? বের কর।’ বলতে বলতেই এগিয়ে গিয়ে দ্বিগুণ তেজে হুংকার দিলেন, ‘সিগারেটের প্যাকেট? তোর এত সাহস! এক্ষুনি দে বলছি।’ মজিদ নাছোড়বান্দা। করুণ মুখে ‘না স্যার, না স্যার’ করতেই স্যার প্যাকেটটা কেড়ে নিয়ে খুলতে লাগলেন, কিন্তু নকল ধরার খুশিতে উদ্ভাসিত তাঁর মুখ ভয়ার্ত হয়ে উঠল মুহূর্তেই। অনেকগুলো তেলাপোকা কিলবিল করে উঠে পড়ল তাঁর গায়ে। স্যারের উদ্দাম নৃত্য দেখে হাসতে হাসতে খুন হওয়া ছাত্রদের মধ্যে মজিদ হাওয়া।
২.
দূরসম্পর্কের মামাতো ভাই স্বপন একদিন ক্লাসে স্যারের প্রশ্ন ‘Waterfall মানে কী’-এর উত্তর দিতে এক মুহূর্ত দেরি না করে বলল, ‘স্যার, পানিফল (শিঙাড়ার মতো দেখতে সবুজ একধরনের ফল)। এটা খেতে খুব মজা।’ স্যারের ধমক খেয়েও স্বপন বোঝেনি, কেন সবাই হেসে গড়াগড়ি যাচ্ছে।
সৈয়দা মাসুদা
স্কয়ার কিন্ডারগার্টেন, শালগাজিয়া, পাবনা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৮, ২০১১
Leave a Reply