তখন ক্লাস নাইন কি টেনে পড়ি। আমাদের এক সহপাঠী ছিল, নাম ‘মিলা’। দেখতে পাটকাঠির মতো। কিন্তু তা হলে হবে কী! ছিল অনেক ঢঙি। চলত খুব স্টাইল নিয়ে। নবাগত হওয়ায় ওকে নিয়ে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সব সময় একটা গুপ্ত আলোচনা এবং সেই সঙ্গে সমালোচনা চলত। কারণ সে আমাদের অনেক বন্ধুর মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিল।
আমাদের এক ‘রসিক ভয়ংকর’ অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন। আমাদের সেই রসিক ভয়ংকর স্যার একদিন ক্লাস নিতে গিয়ে এক মজার ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। একটা অঙ্ক কিছুতেই মিলছিল না। অনেক চেষ্টা করে, অনেক যুদ্ধের পর যখন তিনি যবনিকা টানলেন, তখন দেখা গেল অঙ্কটা মেলেনি। আমরা সবাই সমস্বরে চিৎকার করে উঠলাম, ‘স্যার, মেলে নাই তো।’ কথা শুনে স্যার খুব হতাশ হয়ে এবং কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বললেন, ‘মিলার কী দরকার!’ কথাটা শুনে পুরো ক্লাস তো হো হো করে হেসে উঠল। স্যার কিছুটা বিস্মিত হয়ে এবং পরক্ষণেই হাসির কারণ ধরতে পেরে আমাদের সঙ্গে যোগ দিলেন। সেই থেকে কথাটা প্রচলিত হয়ে গেল ‘মিলা’র কী দরকার!
এস কে সিকদার
সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৮, ২০১১
Leave a Reply