সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়ের একটি ঘটনা। বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ক্লাস নিতেন খালেদা ম্যাডাম। ওই দিন পড়া ছিল এককথায় প্রকাশ। ম্যাডাম প্রায় সময়ই পড়া নিতেন না। নিলেও দু-চারজন থেকে নিয়ে শেষ। তাই প্রায় সময়ই পড়া না শেখার শাস্তি থেকে রেহাই পেতাম।
ওই দিন তিনি প্রায় সবার কাছ থেকে একে একে পড়া নিচ্ছিলেন। দেখে তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া। তড়িঘড়ি করে বই থেকে এককথায় প্রকাশ দেখা শুরু করে দিলাম। ভালো করে দেখার আগেই ম্যাডাম আমার পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলেন, যে নারীর বিয়ে হয়নি, এককথায় কী হবে? আমার বন্ধুর ত্বরিত জবাব, অবিবাহিত। ম্যাডাম আর দু-একজন ভালো ছাত্রছাত্রীও মিষ্টি করে হাসতে লাগল। আমি তো হাসার কোনো কারণই খুঁজে পেলাম না। মনে তো হয় ঠিকই বলেছে। ম্যাডাম তাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বললেন।
এবার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, যা লাফিয়ে চলে, কী হবে? আমিও ত্বরিত জবাব দিলাম, ব্যাঙ। সহজ এককথায় প্রকাশ।
এবার ম্যাডাম আর ওই ভালো ছাত্রছাত্রীরা সজোরে হাসতে লাগল।
আমি ভাবলেশহীনভাবে দাঁড়িয়ে থাকি। ততক্ষণে পেছনের
ছাত্ররা বই থেকে দেখে হাসা শুরু করে দিল। পুরো ক্লাসে হাসি। আমি দেখলাম, শুধু আমিই হাসি থেকে বাদ। তাই আমিও মিষ্টি করে হাসা শুরু করলাম।
আফাজ মুহাম্মদ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৮, ২০১১
Leave a Reply