ভ্রাতুষ্পুত্রের কাছ থেকে চিঠি পেল খেকভ। খাম খুলে সে পড়তে শুরু করল:
‘প্রিয় কাকা, আমি কি তোমাকে চিঠি লিখতে পারি?’
একটু ভেবে নিয়ে খেকভ উত্তর লিখল:
‘অবশ্যই পারিস।’
কিছুদিন পর আরও একটা চিঠি এল:
‘আমি তোমাকে চিঠি লিখলে তুমি আমাকে উত্তর দেবে তো?’ ভ্রাতুষ্পুত্র প্রশ্ন করল।
‘দেব’, প্রতিশ্রুতি দিল খেকভ।
‘কী বিষয়ে লিখব?’ প্রশ্ন এল পরের চিঠিতে।—‘ছিদ্র করার জন্য ছুঁচলো একটা হাতিয়ার কিনেছি, সে কথা?’
‘লিখিস,’ জানাল খেকভ।
‘আমার পোষা বাদুড়ের তিনটে বাচ্চা হয়েছে, তিন খুদে বাদুড়, সে কথাও লিখব?’ নিশ্চিত হতে চাইল ভ্রাতুষ্পুত্র।—‘আর আমি যে একটা স্টাডি সার্কেলে ঢুকেছি, সেটাও জানাব?’
‘হুঁ, সেটাও জানা।’ খেকভ সম্মতি জানাল।
‘আচ্ছা, খুব শিগগির চিঠি লিখব,’ ভ্রাতুষ্পুত্র লিখল পরবর্তী চিঠিতে।
কাকা চিঠির অপেক্ষা করল অনেক-অনেক দিন। চিঠি নেই তো নেই-ই। একদিন দরজায় বেল বাজল হঠাৎ। দরজা খুলে কাকা দেখল ভ্রাতুষ্পুত্র দাঁড়িয়ে।
‘কাকা!’ খুশিতে চিৎকার দিয়ে বলল সে। ‘জানো, চিঠি লেখার সময় আমার একদমই নেই। তার চেয়ে বরং একদিন তোমাদের বাসায় বেড়াতে আসি? খুব বেশি দূরে তো থাকি না। শ খানেক কিলোমিটারের মামলা।’
‘অবশ্যই আসিস’, নিমন্ত্রণ জানাল কাকা।
‘অবশ্যই আসব’, প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফিরে গেল ভ্রাতুষ্পুত্র।
ভিক্তর ভেরিজনিকভ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১
Leave a Reply