ক্রিকেটের ক্ষেত্রে ব্যবহূত কিছু কথা ও শব্দ শুনলেই আমরা নেগেটিভ ধারণা পোষণ করে বসে থাকি। অথচ চাইলেই আমরা আমাদের ধারণাকে পজিটিভ বানাতে পারি। সেটা কীভাবে, তাই জানাচ্ছেন ইকবাল খন্দকার, আঁকা: শিখাহার দিয়ে শুরু অমুক দলের
হার মানেই পরাজয় নয়। হতে পারে গলার হারও। কাউকে হার উপহার দিয়ে কোনো দল খেলা শুরু করতেই পারে। এটা নিতান্তই আন্তরিকতা।
সাজঘরে ফিরলেন অমুক খেলোয়াড়
সাজঘরে ফেরা মানেই আউট হয়ে যাওয়া নয়। হতে পারে সেটা মেকআপ রুমে ফেরা। একজন খেলোয়াড় এখানে বসে হালকা রূপচর্চা করতেই পারেন।
একটার পর একটা উইকেট পড়ছে
উইকেট মানেই যেহেতু খেলোয়াড়, অতএব ‘উইকেট পড়ছে’ কথাটা শুনলে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। উইকেট পড়ছে বলতে খেলোয়াড়েরা বসে বসে বই বা পত্রিকা পড়ছেন, এটাও বোঝানো হতে পারে।
অমুক দল এখন চাপের মুখে
দল চাপের মুখে শুনলে মন খারাপ হতেই পারে। কিন্তু এই চাপ যদি হয় গরুর মাংসের চাপ, তাহলে অর্থটা কী দাঁড়ায়, ভাবুন। চাপের মুখে কোনো দল থাকা মানে মাংসের চাপের সামনে খেলোয়াড়েরা আছেন। তাঁরা এখন মাংসের চাপ খাবেন।
ব্যাটে-বলে হলো না, তাই বল সীমানার বাইরে গেল না
বল সীমানার বাইরে যায়নি বলে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। বল যদি এই সীমানা অর্থাৎ বাংলাদেশের সীমানার বাইরে চলে যেত, তাহলে কি বলটা আনা যেত? বিএসএফ গুলি করে বসত না?
ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে
একটা ম্যাচের আর কতই বা দাম। এক টাকা, বড়জোর দুই টাকা। অতএব, ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা না থাকলেও কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই।
তিন তিনটি উইকেটের পতন
উইকেট ভেঙে দেওয়া মানে কিন্তু স্টাম্প ভেঙে দেওয়া। তার মানে, স্টাম্পকে উইকেট বলা হয়। তো উইকেটের পতন শুনলেই খেলোয়াড় আউট হয়ে গেছে, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। উইকেট তো এমনিতেও মাটিতে পড়ে থাকতে পারে।
রান আউট
প্লেট থেকে রান আউট হতেই পারে। মানে, রান সরিয়ে নেওয়া হতেই পারে। কারণ, সব সময় মাছ-মাংস খেলে শরীর সুস্থ থাকে না। শাক-সবজি খেতে হয়।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১১
Leave a Reply