একদা এক নৈরাশ্যবাদীর ভাগ্য অপ্রসন্ন হলো। কলমের কালি লেপ্টে গেল তার সদ্য কেনা দামি স্যুটে। দাগ দূর করার যাবতীয় অধ্যবসায় পরিণত হলো পণ্ডশ্রমে। দাগ আরও প্রসারিতই হলো শুধু।
মাথায় হাত দিয়ে বসল নৈরাশ্যবাদী।
‘আমি আগেই জানতাম, কাপড়ের জাতই না এটা! কালি শুষে নেয় স্পঞ্জের মতো!’
প্রতিবেশীরা তাকে আশ্বস্ত করার জন্য বলল,
‘এ তো নেহাতই মামুলি ব্যাপার! সু্যুটটা নিয়ে যান ড্রাই ক্লিনার্সে। ওরা দাগ দ্রুত তুলে ফেলবে।’
‘ড্রাই ক্লিনার্সের দৌড় আমার জানা আছে!’ স্পষ্ট বিরক্তি প্রকাশ পেল নৈরাশ্যবাদীর কণ্ঠে। ‘কাজের কাজ তো কিছুই করতে পারে না, খামোখা কাপড়চোপড় আটকে রাখে মাসের পর মাস…’
তবে উপায়ান্তর না দেখে প্রতিবেশীদের উপদেশে কর্ণপাত করবে বলে মনস্থির করল সে।
তারপর এক ঘণ্টা বাদেই বগলের তলায় স্যুটটি চেপে ধরে ড্রাই ক্লিনার্স থেকে ফিরে এল।
‘কী, দাগ দূর হয়েছে?’ প্রতিবেশীরা জিজ্ঞেস করল সহানুভূতির সুরে।
‘হয়েছে!’ কয়েক মুহূর্ত নীরব থেকে বিরসবদনে বলল নৈরাশ্যবাদী। ‘আমাদের এই পোড়া দেশে কালিও ঠিকমতো বানাতে পারে না!’
লেখকের নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ৩১, ২০১০
Leave a Reply