ছেলে: তোমার কাছে খুচরো পয়সা আছে?
মেয়ে: থাকার কথা। (ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে হাতড়াতে থাকে) এই হাতব্যাগে কক্ষনো কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না।… পেয়েছি।
ছেলে: এটা কী দিলে? বাসের ব্যবহূত টিকিট?
মেয়ে: অসম্ভব!… আরে, তাই তো! কেন যে এটাকে ব্যাগে বয়ে বেড়াচ্ছি! দাঁড়াও, দিচ্ছি তোমাকে কুড়ি জেলাতি। (ব্যাগের ভেতরে হাত ঢুকিয়ে দেয় আবার)
ছেলে: এটা আবার কী দিলে?
মেয়ে: দেখাও তো! ওহ্, একটা ঠিকানা। তবে যে কার! ধারণাও করতে পারি না! কেন যে বয়ে বেড়াচ্ছি!
ছেলে: আচ্ছা, ঠিক করে বলো তো, তোমার কাছে কুড়ি জেলাতি আছে? নাকি নেই?
মেয়ে: আছে বাবা, আছে। একটু আগেই তো দেখেছিলাম। দাঁড়াও, পার্সটা বের করি আগে। (আবার হাত ঢুকিয়ে দেয় ব্যাগে) এই হাতব্যাগগুলো একেবারে অসহ্য! কিচ্ছু খুঁজে পাওয়া যায় না! … এই যে, পার্সটা পেয়েছি। ওহ্, না, এটা গত বছরের ক্যালেন্ডার। কী কাজে এটা আমার ব্যাগে? শুধু শুধু জায়গা দখল করে রাখে! (হাতড়াতে থাকে) উফ্! ব্যাগ বটে একখানা!
ছেলে: কী, আছে কুড়ি জেলাতি?
মেয়ে: অ্যাত্ত গোলমেলে এই ব্যাগটা! দাঁড়াও, আচ্ছা, এই কাপড়ের টুকরোটা এল কোত্থেকে! ওহ্, মনে পড়েছে! ব্লাউজ বানানোর জন্য এ রকম কাপড় খুঁজছিলাম দুই বছর আগে। কেন যে এখনো জমিয়ে রেখেছি, কে জানে!
ছেলে: ট্রামের টিকিটের জন্য কুড়ি জেলাতি চেয়েছিলাম তোমার কাছে…
মেয়ে: কুড়ি জেলাতি? আগে বলবে তো! এক্ষুনি খুঁজে দেখছি হাতব্যাগে। একটু আগেই তো চোখের সামনে ছিল…
———————–
স্তেফানিয়া গ্রোদজেন্সকা
পূর্ববর্তী:
« হাতঘড়ি
« হাতঘড়ি
পরবর্তী:
হাতসাফাই বিদ্যানিকেতন »
হাতসাফাই বিদ্যানিকেতন »
Leave a Reply