মেট্রোয় বসে বই পড়ছে পরিচিত এক লেখক।
থেকে থেকেই কপাল কোঁচকাচ্ছে, হেসে উঠছে হো হো করে, কপাল চাপড়াচ্ছে, কপালের পাশে তর্জনী ঠেকিয়ে এদিক-ওদিক ঘুরিয়ে ‘পাগল নাকি’-র সংকেত দিচ্ছে, মাথা দোলাচ্ছে দু পাশে, চোখ কপালে তুলছে, গজগজ করে বলছে কী সব, তারপর কী যেন ভাবছে অনেক সময় ধরে…
পড়তে পড়তে সে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ল যে স্থান-কাল ভুলে মাঝেমধ্যে জোরেশোরেই প্রকাশ করতে লাগল পাঠ-প্রতিক্রিয়া:
—বললেই হলো!
—তাই নাকি!
—দারুণ তো!
—হতেই পারে না!
—পারেও বটে!
—বোঝো ঠ্যালা!
—কক্ষনো মাথায় আসত না!
—অবাক কাণ্ড তো!
ভারি কৌতূহল হলো আমার। তার কাঁধের ওপর দিয়ে উঁকি দিলাম বইয়ের নাম দেখার জন্য।
বইটা ছিল ‘বানান অভিধান’।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৬, ২০১০
Leave a Reply