সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাকে বিরোধীদলীয় নেত্রী ‘গোলামি চুক্তি’ হিসেবে নামকরণ করেছেন। এমন আরও অনেক প্রকার চুক্তি তো হতেই পারে। আসুন, দেখা যাক সেই চুক্তিপত্রগুলো কেমন হতে পারে। ভেবেছেন মহিউদ্দিন কাউসার
গোলামি চুক্তি
বিষয়: কোটি টাকার ঋণচুক্তি
স্বাক্ষরকারী: বাংলাদেশ ও ভারত
মতৈক্য: চুক্তিতে যা-ই থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত ভারত যা চাইবে তা-ই হবে।
টেক্কা চুক্তি
বিষয়: টেন্ডার আর দখলে অন্য গ্রুপকে টেক্কা দেওয়ার চুক্তি
স্বাক্ষরকারী: ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ
মতৈক্য: তাদের মধ্যে মতের মিল অসম্ভব ও অলীক কল্পনা মাত্র।
রাজকীয় চুক্তি
বিষয়: রাজার যা খুশি তা-ই করার অধিকার
স্বাক্ষরকারী: রাজা এবং তাদের সভাসদ
মতৈক্য: প্রজাকে শোষণের ক্ষেত্রে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
হরতনীয় চুক্তি
বিষয়: হরতাল নিয়ে ছিনিমিনি চুক্তি
স্বাক্ষরকারী: সব রাজনৈতিক দল
মতৈক্য: ক্ষমতায় গেলে হরতালের বিরোধিতা এবং ক্ষমতা হারালে হরতালে লগ-ইন করার ব্যাপারে মতের মিল থাকবেই।
বিবি চুক্তি
বিষয়: বি গ্রেডধারীর সংবর্ধনা আদায় চুক্তি
স্বাক্ষরকারী: দুজন বি গ্রেডধারী
মতৈক্য: গোল্ডেন এ+ এর জোয়ারের যুগে ‘বি’ পাওয়াটা বিশাল অর্জন এবং তারাও বিশেষ সংবর্ধনার দাবিদার। এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জোকারীয় চুক্তি
বিষয়: রস করার চুক্তি
স্বাক্ষরকারী: রস+আলোর বি.স. ও আইডিয়াবাজ
মতৈক্য: যা-ই হোক, পাঠককে কাঁদিয়ে বুকে সুনামি চাইতে হবে।
রুইতনীয় চুক্তি
বিষয়: রুই মাছ ব্যবহার করা চুক্তি
স্বাক্ষরকারী: রুই ও কাতলা শ্রেণীর মানুষ
মতৈক্য: ঘুষ হিসেবে রুই মাছ বিনিময়ে কারও মধ্যে মতের অনৈক্য থাকবে না।
সাহেবি চুক্তি
বিষয়: সাহেবিত্ব সংরক্ষণ চুক্তি
স্বাক্ষরকারী: গার্মেন্টসের মালিক ও কর্মচারী
মতৈক্য: বেতন যতই কম দেওয়া হোক কিংবা না-ই দেওয়া হোক, কর্মচারীরা সব সময়ই মালিককে মানবে এবং ‘সাহেব’ ‘সাহেব’ বলে সম্বোধন করবে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ১৬, ২০১০
Leave a Reply