অফিসে কেউ আমাকে পাত্তা দেয় না কর্মচারী হিসেবে। গণ্য করে না মানুষ হিসেবেও।
অবস্থা বরং ঠিক উল্টো। কর্মচারী বলে গণ্য করে না, মানুষ হিসেবেও পাত্তা দেয় না।
কাঁহাতক আর সহ্য করা যায়! স্থির করে ফেললাম, ডুবে মরব।
ব্রিজের ওপর উঠে দেখি, ছোটখাটো একটা লাইন। জনা সাতেকের।
—সবাই ডুবে মরতে এসেছে?
—হ্যাঁ, সবাই।
অপেক্ষা করতে শুরু করলাম লাইনে দাঁড়িয়ে। বিরক্তি ধরে গেল একসময়। জিজ্ঞেস করলাম:
—লাইন এগোচ্ছে না কেন? সামনের লোকজন ঘুমিয়ে পড়ল নাকি!
—না। আসলে একটা মোটে পাথর। একদম সামনের লোকটা এখন গলায় পাথর ঝুলিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে পানিতে। কিছুক্ষণ বাদে লাইনের পরের জন পানিতে ডুব দিয়ে পাথরটির বাঁধন খুলে তুলে নিয়ে এসে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য তৈরি হবে।
এই তাহলে ঘটনা পাথর নিয়ে!
আরও কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হতে পারে, হিসাব করলাম। নিচে নেমে পানিতে হাত দিয়ে দেখি, বেশ ঠাণ্ডা! ডুব দিয়ে পাথর তুলে আনতে আনতে নিউমোনিয়া বাঁধিয়ে ফেলার অবস্থা হবে!
লাইনে ফিরে এসে বললাম:
—না রে, ভাই, লাইনে আর দাঁড়াব না।
ব্রিজ থেকে নেমে আমি চললাম বিয়ার গিলতে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ০২, ২০১০
Leave a Reply