ঠিক দুপুর দুইটায় দীপার সঙ্গে দেখা হলো আমার। সে মোহন নামে একটি ছেলেকে ভালোবাসে। আজ ওর হঠাৎ ইচ্ছে হয়েছে মোহনকে না জানিয়ে তার বাসায় যাবে। দীপার এই ইচ্ছে পূরণ অভিযানে সঙ্গী হয়েছি আমি।
মোহনদের বাসাটা তিনতলা, পাঁচটি ইউনিট, প্রথম বাসায় নক করতেই বেরোলেন এক মহিলা। ‘কী চাই?’
আমি গম্ভীর হয়ে বললাম, ‘আমরা এসেছি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন থেকে। প্রতি পরিবারে শিক্ষার হার জরিপ করছি আমরা।’ আড়চোখে দেখলাম, দীপা হাসি আটকাচ্ছে। এটা কাঙ্ক্ষিত বাসা নয় বুঝে ওই বাসা থেকে তথ্য নেওয়ার ভান করে গেলাম অন্য বাসায়। এরই মাঝে এক বাসায় খেয়ে আসার আমন্ত্রণও পেয়ে গেলাম। দীপার কানে ফিসফিস করে বললাম, ‘মাঝে মাঝে এ রকম বেরিয়ে ফাও খেলে মন্দ হয় না।’
একেবারে শেষ বাসাটা পেলাম মোহনের। ওর বাসায় ঢুকেও যথারীতি তথ্য নেওয়ার ভান করতে লাগলাম। এর ভেতরে দীপা বাসা ও বাসার সদস্যদের দেখে নিয়ে আমাকে ইশারা করে জানাল, ওর কাজ শেষ। ওখান থেকে বিদায় নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে হাসিতে ভেঙে পড়লাম আমরা।
সুমন কুমার চন্দ
হাতিমবাগ, পূর্ব শিবগঞ্জ, সিলেট।
Leave a Reply