ঈদুল ফিতরের পরের দিন আমার এক চাচা তাঁর পরিবারসহ আমাদের বাসায় বেড়াতে এলেন। দুপুরের খাবার পরিবেশন করার সময় চাচার তিন বছরের নাতি বলে উঠল, ‘গালি দেও! গালি দেও!’ আমরা সবাই তো খুব অবাক। ভাবলাম, অনেক বাচ্চা যেমন গল্প শুনতে শুনতে বা টিভি দেখতে দেখতে খায়, এই বাচ্চা বুঝি গালি শুনতে শুনতে খায়। এদিকে বাবুর কান্না যখন আর থামে না, তখন আমি প্রস্তুতি নিয়েই নিলাম গালি দেওয়ার। ঠিক যখন আমি গালি দিতে যাব, তখনই সব পরিষ্কার হলো। আসলে সে শোকেসের ওপরে সাজিয়ে রাখা খেলনা গাড়ি দেখিয়ে বলছিল, ‘গালি দেও!’ বাবুর কথায় একটু সমস্যা থাকায় কথাটি ‘গাড়ি দেও’ না হয়ে ‘গালি দেও’ হয়ে গিয়েছিল। এখন কোনো খেলনা গাড়ি দেখলেই সেই বাবুর কথা মনে পড়ে আর নিজের অজান্তেই হাসি।
সাদিয়া খানম
ঘোড়ামারা, বোয়ালিয়া, রাজশাহী।
Leave a Reply