ছোটবেলায় যে স্কুলে পড়তাম, সেখানে টিচারদের নামের প্রথম অক্ষরগুলো ব্যবহার করা হতো। যেমন, আমেনা বেগমকে লেখা হতো ‘আবে’, হেলাল খান হলে ‘হেখা’ ইত্যাদি। মাঝে মাঝে নামের আদ্যক্ষর দিয়ে অদ্ভুত অদ্ভুত সব নাম হয়ে যেত, যা নিয়ে ছেলেমেয়েরা অনেক মজা করত। এক ছাত্র আরেক ছাত্রকে বলছে, ‘আজ কানা (কামরুন নাহার) ম্যাডামের পড়া শিখিনি। লিখতে দিলে পারব না রে।’ অন্যজন বলল, ‘কানা ম্যাডামের খাতায় লিখলেই কি, আর না লিখলেই কি।’ ক্লাসে নতুন টিচার এসে ছাত্রদের কাছে জানতে চাইলেন, ‘এ টপিকটা আগে কে পড়াতেন?’ ক্লাসের সবাই মিলে কাশতে শুরু করল। স্যার মহা বিরক্ত হয়ে অফিসে কমপ্লেইন করলেন। স্যারকে জানানো হলো, ছেলেরা কেশেছিল, কারণ, সে টপিকটা পড়াতেন কাবেরী সেনগুপ্তা মানে ‘কাসে’ ম্যাডাম। মজার ব্যাপার হলো, পড়া শেষে আমি যখন একই স্কুলে টিচার হিসেবে যোগদান করলাম, আমার নাম হলো ‘ফার’ (ফারহানা রহমান)। একদিন ক্লাসে ঢুকলাম, হুড়মুড় করে সবাই আমার গায়ের ওপর দিয়ে গিয়ে সিটে বসল। জানতে চাইলাম আগে ঢোকনি কেন। উত্তর ছিল, ‘ম্যাডাম, আপনি তো অ-নে-ক দূরে, তাই দেখতে পাইনি।’
ফারহানা রহমান
নয়াটোলা, চেয়ারম্যান গলি, মড় মগবাজার, ঢাকা।
Leave a Reply