আমার এক আত্মীয় এতই কিপটে অর্থাৎ কৃপণ ছিল, সে কখনো বড় মাছ কিনতে চাইত না তার টাকা থাকা সত্ত্বেও। একদিন তার ছোট ছেলে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বই নিয়ে পড়ার ভান করে নানা ধরনের কথা শোনাল। যেমন, একদিন সে বাজার থেকে পুঁটি মাছ কিনে আনলে তার ছোট ছেলে বই নিয়ে পড়ে পড়ে তাকে শোনাচ্ছে এভাবে, ‘উম্-ম-ম-ম ছোট মাছ মানে এ-এ-এ-এ পুঁটি-ই-ই’ মাছ খাতি হয় না, পুঁটি উম্ ম-ম-ম পুঁটি মাছ খালি চোখ কানা-না-না হয়, আর প্যাট ব্যথা আ-আ-আ করে। উম্ ম-ম-ম পুঁটি মাছ খাতি হয় না। যারা পুটি-ই-ই-ই মাছ খায় তাগের মাথা খারাপ হয়ে যায়। উম্ ম-ম-ম।’
তখন তার কিপটে বাবা জবাব দিলেন, ‘আরে তোর বইয়ে তো সব ভুল লেখা আছে, আসলে তোর বইয়ের লেখক তো কিছুই জানে না। আমিও এককালে স্কুলি পড়তাম, বুইছিস? আমার বইতি লিখা ছিল যত ধরনের ছোট মাছ আছে, যিরাম ধর পুঁটি, ড্যানড্যানে, মায়া মাছ আছে, সব খাতি হবি, এই সব মাছ খালি মাতার ব্যারেন বাড়ে, পাগলরা বালো হয়, আর বড় মাছ খালি মানুষ তাড়াতাড়ি মরে, তাইতি তো আমি পুঁটি মাছ আনি। আর তোর মাতার ব্যারেন বাড়াতি কাইলকে আরও বেশি পুঁটি মাছ আনব, বুইছিস?’
সিলভিয়া
আরবপুর দিঘীর পাড়, যশোর।
Leave a Reply