সবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। তো একদিন দেখি, বন্ধু পাশা রাত করে উপটান মেখে ঘুমাতে যাচ্ছে। জিজ্ঞেস করতেই বলল, ‘শুধু কি কাব্যচর্চাতেই মনঃপূর্তি মেলে, রূপচর্চাও বাঞ্ছনীয়।’ এ কথা শুনে কয়েক বন্ধুর মাথায় দুষ্টবুদ্ধি চাপতে দেরি হয় না। একদিন এল সেই সুর্বণ সুযোগ। খবর নিলাম, ঘরকুনো ছেলেটি আজ বাইরে। কী করা যায়? কয়েক বন্ধু মিলে ওর উপটানের কৌটা খুলে উপটানের সঙ্গে টুথপেস্ট মেখে আবার ঠিকঠাক রেখে দিই। বরাবরের মতো সে রাতেও পাশা উপটান মেখে ঘুমাতে গেল। সকালবেলা যা হওয়ার তা-ই হলো। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার বদনখানি ব্রণে ছেয়ে গেল…! বেচারাকে সান্ত্বনা দিলাম এই বলে, ‘মেয়াদহীন উপটানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া!’ এর পরবর্তী সময়, বন্ধুবর পাশাকে কখনো উপটানে ভূষিত হতে দেখিনি। কার্যকারণ জিজ্ঞেস করলেই কবি সাহেব বলে ওঠেন, ‘নবসভ্যতার কর্ণধারদের এসব উটকো বস্তু লেপনের অবকাশ নেই।’ আর মনে মনে তখন আমরা ভাবি, ‘ওহে, মোহিত পাশা…
নব্যচিন্তা তব অতীব খাসা।’
আসাদুজ্জামান শুভ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা।
Leave a Reply