বনের ভেতর দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে খরগোশ দেখল, পথের ওপরে গোবর পড়ে আছে। থেমে কিছুটা গোবর হাতে তুলে নাকের কাছে নিয়ে গন্ধ শুঁকে মুখ বিকৃত করে বলল, কী দুর্গন্ধ, বাপ রে বাপ! আরেকটু হলে পা দিয়ে মাড়িয়ে দিয়েছিলাম!
শুঁয়োপোকা খুব বড়াই করে বলল, ‘জীববিদ্যার অর্ধেকটা আমার দখলে।’
‘কীভাবে?’ তাকে জিজ্ঞেস করা হলো।
‘জীববিদ্যায় দুটো ভাগ: উদ্ভিদবিদ্যা আর প্রাণিবিদ্যা। সবাই জানে, উদ্ভিদে আমার অবাধ বিচরণ।’
খাওয়ার ঘরে ঢুকে মোরগ দেখল, হোয়াইট ওয়াইনের সসে ডুবিয়ে রাখা একটি মোরগের রোস্ট। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল সে, ‘এত দিনে বুঝলাম, অ্যালকোহল সত্যিই জীবন ধ্বংস করতে পারে।’
কাক বসে আছে গাছের ডালে। খরগোশ তাকে জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছ?’
‘মজা করছি।’
‘কীভাবে?’
‘এখানে উঠে এলেই বুঝতে পারবে।’
খরগোশ ডালে উঠে এসে বসল। মজা
করার লোভে এর পরে একে একে এল খ্যাঁকশিয়াল, নেকড়ে। সবশেষে এল
ভালুক। সে ডালে উঠে বসতেই তা মট
করে ভেঙে গেল। খরগোশ, খ্যাঁকশিয়াল, নেকড়ে আর ভালুক ধপাস করে পড়ে গেল মাটিতে। আর কাক উড়ে যেতে যেতে বলল, ‘ডাল ভেঙে গেলে যে কী মজা!’
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ১৯, ২০১০
Leave a Reply